বাংলাদেশের সাংসদকে খুনের পর অ্যাপ ক্যাবে দেহাংশ পাচার!

যত সময় গড়াচ্ছে ততই বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের সাংসদ খুনের ঘটনায় (Bangladesh MP Murder case) মোবাইলের সূত্র ধরে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা বলছেন খুনের পর অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে দেহাংশ অন্যত্র পাচার করা হয়। চালকসহ গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ, শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।

পুলিশ সূত্রে খবর, শেষবার সাংসদের ফোনের লোকেশন ছিল উত্তরপ্রদেশ। খুনের পর সবাইকে বিভ্রান্ত করতেই তাঁর মোবাইলটি উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। খুনের ঘটনা তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিআইডি। প্রকাশ্যে এসেছে আনোয়ারুলের শেষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। গত ১৬ মে সকালে আনোয়ারুলের নম্বর থেকে দুটি ফোন করা হয়। একটি ফোন যায় তাঁর আপ্তসহায়কের নম্বরে। অন‌্যটি করা হয় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদকের মোবাইলে। পুলিশের মতে, যে ব‌্যক্তি পুলিশ ও সাংসদের পরিবারের লোকেদের বিভ্রান্ত করতে মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে, সে বাংলাদেশিও হতে পারে। বাংলাদেশের যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদেও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে বলে সে দেশের প্রশাসনিক সূত্রে খবর। যদিও তদন্তের স্বার্থে তা আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে। পুলিশ বলছে ১৩ তারিখে খুনের পর দেহ ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। ১৬, ১৭, ১৮ এই তিন দিন ধরে দেহাংশ অন্যত্র পাচার করা হয়। কোথায় কোথায় দেহের খন্ডাংশ ফেলা হয়েছে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।আধিকারিকদের অনুমান, খুনে সুপারি কিলারদের ব্যবহার করা হয়েছিল। তার জন্য পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের।এই কাজে সাংসদের ঘনিষ্ঠ কেউ যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তিনি ভারতে আসবেন জানতে পেরেই খুনের চক্রান্ত করা হয়। জানা যাচ্ছে, চার কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে তাঁর এক ব্যবসায়ী বন্ধুর গোলমাল চলছিল। তিনিই এই খুনের মাষ্টারমাইন্ড কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

Previous articleনন্দীগ্রামের পর ময়না, আদি-নব্য দ্বন্দ্বে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী
Next articleমাঝপথে ছেড়ে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত আইপিএল কর্তৃপক্ষের