দেশের সর্বকনিষ্ঠ কোটিপতিকে চেনেন? সাতাশ বছর বয়সে ৯৮০০ কোটি টাকার মালিক!

নিজেকে সামলে নিয়ে পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় দিয়ে ২০২২ সালে ব্রিলিয়ান্ট টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড বলে একটি সংস্থা স্থাপন করেন এই তরুণ।

ছোট থেকে সকলেই স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। কিছু মানুষ স্বপ্ন সত্যি হয় না ভেবে মাঝপথে লক্ষ্য হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু কিছু মানুষ নিজের স্বপ্নকেই জীবনের আসল লক্ষ্য বলে বিশ্বাস করে সামনের দিকে এগিয়ে যান। তাঁরাই হয়ে ওঠেন অনন্য। কিন্তু তাই বলে মাত্র ২৭ বছর বয়সে ৯৮০০ কোটি টাকার মালিক হওয়া, সহজ কথা নয়। কিন্তু এই প্রায় অসম্ভব কাজ যিনি সম্ভব করেছেন তিনি দেশের সর্বকনিষ্ঠ কোটিপতি- নাম পার্ল কাপুর (Pearl Kapoor)।

ভারতেই জন্ম পার্ল কাপুরের। তাঁর বয়সের সঙ্গে জন্মসালের হিসেবটা মিলিয়ে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয় না। ১৯৯৭তে জন্ম এই তরুণের। ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনায় মেধাবী ছিলেন। তাই নিজের অধ্যাবসায় এবং চেষ্টার জোরে স্কলারশিপের টাকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডনে (London) পাড়ি দেন। সেখানকার কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Queen Mary University) ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর একটা মুহূর্ত বেকার বসে সময় নষ্ট করেনি তিনি। পড়াশোনা শেষ করা মাত্রই নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে বিজনেস অ্যাডভাইজার (Business Advisor) হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। সব ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু ঈশ্বরের বোধহয় অন্যরকমের কিছু ইচ্ছে ছিল। তাই ২০২০ সালে নিজের চেনাজগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয় পার্লকে (Pearl Kapoor)। নিজের সব থেকে প্রিয় মানুষ বাবাকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলে। পিতৃবিয়োগের দুঃখ কাটিয়ে ওঠা সহজ ছিল না। কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়ে পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় দিয়ে ২০২২ সালে ব্রিলিয়ান্ট টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড বলে একটি সংস্থা স্থাপন করেন এই তরুণ। এরপর জাইবার৩৬৫ (Zyber 365 Technologies Limited) নামের একটি স্টার্ট আপ কোম্পানিতে মন দেন। এই কোম্পানি মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) নিয়ে কাজ করতে শুরু করে এবং দু তিন মাসের মধ্যে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দেয়। প্রায় ৯০ দিনের মাথায় কোম্পানির মূল্য দাঁড়ায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার! আজ তাই পার্ল কাপুরকে নিয়ে এতো আলোচনা। মাত্র ২৭ বছর বয়সী ছেলের জেদ, বিচক্ষণতা, পরিশ্রম, অধ্যাবসায় তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। সকলকেই যে কোটিপতি হতে হবে এমন কোনও কথা নেই। কিন্তু যদি নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করা যায় তাহলে সাফল্য নিজে থেকেই ধরা দিতে বাধ্য হয়। পার্ল কাপুরের জীবনের গল্পটাই তার জলজ্যান্ত প্রমান।


 

Previous articleমোদিরাজ্যে গেমিং জোনে দুর্ঘটনায় দায়ের জনস্বার্থ মামলা! উদ্বেগপ্রকাশ গুজরাট হাই কোর্টের
Next articleপৈলান এডুকেশনাল ট্রাস্ট এবং শ্রাচির যৌথ উদ্যোগে AIS এর সেমিনার