ভোট ঘোষণার আগে পরে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুটি সভা করেছিলেন কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar)। একমাত্র এই দুটি সভা করেছেন মোদি। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীকে নিজে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কাঙ্খিত জয় আসেনি। এবারও কৃষ্ণনগরে পরাজয় সঙ্গী হয়েছে বিজেপির। আর এই হারের জন্য আগেই দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থী রানিমা অমৃতা রায় (Amrita Roy)। তাঁকে ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অমৃতা। এমনকি, রানিমার ঘনিষ্ঠদের বিস্ফোরক দাবি, দলের নেতাদের একটা অংশ প্রচার ফান্ডের বিপুল টাকা নিজেদের পকেটে পুড়েছে।

এবার কৃষ্ণনগরে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হলেন দলের কর্মীরাই। বিজেপি প্রার্থীকে বিজেপি নেতৃত্ব হারিয়েছে এই দাবি নিয়ে বিজেপি একাংশ কর্মীরা আজ রাস্তায় নামেন। ক্ষোভে বিজেপি জেলা পার্টি অফিসের মধ্যে টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করে গেটে তালা মেরে দেন তাঁরা।

নদিয়া উত্তরের বিজেপি জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের জুতোর মালা দেওয়া ছবি নিয়ে মিছিল করলেন তারা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অর্জুন বিশ্বাসকে পদ থেকে সরাতে হবে, না সরালে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানালেন বিক্ষোভকারীরা। বিজেপি জেলার বর্তমান পদাধিকার নেতারা এবং বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রানিমা-কে হারানো হয়েছে, এমনটাই দাবি তাঁদের। পুরাতন কর্মীরা যারা পদে ছিলেন এখন নেই, তাদের কাওকে ডাকা হয়নি, এমনকি ভোট পর্বে রানীমার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। রানিমা রাজনীতিতে নতুন তাকে যে ভাবে পরিচালনা করা হয়েছে তাতেই হেরেছেন। রাজ্য নেতৃত্ব এই জেলায় আসলে পিঠে কুলো বেঁধে আসবেন। কারণ কর্মীরা খুব ক্ষুব্ধ। নদিয়া উত্তর বিজেপির পুরাতন নেতা কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, রানিমা যা বলেছেন ঠিক বলেছেন, কোনও ভুল নেই।

নদিয়ার বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত রুদ্র বলেন, এই জেলার বর্তমান নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্ব যৌথভাবেই রানিমাকে হারিয়েছে। যারা পুরনো কর্মী ছিল তাদের সঙ্গে এরা যোগাযোগ করেনি। এখন যারা জেলা নেতৃত্ব রয়েছে তারা চায় না পুরনো কর্মীরা দলটা করুক। জেলা নেতৃত্বের অর্জুন বিশ্বাস একজন দুর্নীতিগ্রস্থ লোক। রানিমা অরাজনৈতিক, তাই তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে জেলা সভাপতি টাকা আত্মসাত্ করেছে।
