মানিকতলা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি!

মানিকতলা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে (Supti Pandey)। তৃণমূল (TMC) সূত্রে এই খবর। মঙ্গলবার, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে চিফ ইলেকশন কনভেনর করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। ইলেকশন এজেন্ট হয়েছেন অনিন্দ্য রাউত (Anindya Raut)। তৃণমূলের তরফে অবশ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও তা ঘোষণা করা হয়নি।এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্তি পাণ্ডে (Supti Pandey), ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী, স্বপন দাস, শান্তিরঞ্জন কুন্ডু, মীনাক্ষি গঙ্গোপাধ্যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি পরেশ পাল। অনিন্দ্য রাউত বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে নেওয়া হয়।

বৈঠক সেরে বেরোনোর পর এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “মানিকতলা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে যখন যা জানাবার, দল জানাবে।“

২০২১ সালে মানিকতলা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডের কাছে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ। এরপরই তিনি ভোটের ফল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধন পাণ্ডে (Sadhan Pandey) প্রয়াত হন। কিন্তু কল্যাণের সেই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় এই আসনে এখনও উপনির্বাচন হয়নি। মানিকতলার তিন বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান। মামলাকারীদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানান, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৫১-এ ধারা অনুযায়ী কোনও আসন ছ-মাসের বেশি শূন্য থাকতে পারে না, উপনির্বাচন করানো বাধ্যতামূলক। অভিযোগ, কল্যাণের দীর্ঘ গড়িমসিতেই বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে এই মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চে। কল্যাণের কীর্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। এরপরে হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানান কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chowbay)। অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে রাজ্যের আরও তিন কেন্দ্রের সঙ্গে মানিকতলা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এবার প্রার্থী বাচাইয়ের পালা।