হাইকোর্টে মুখ পুড়ল শুভেন্দুর, ‘বিদায়’ কটাক্ষ তৃণমূলের

নির্বাচনী বিপর্যয়। তারপরে একটা মুশল পর্ব চলছে। তার থেকে নজর ঘোরাতে এই ধরনের নাটক করতে গিয়েছিল বিজেপির নেতারা। হাইকোর্ট তো সরতে বলেছে।

রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে আবেদন হাইকোর্টে করেছিলেন, তাতে কার্যত মুখ পুড়েছে বিজেপির। ১৪৪ ধারা ভেঙে ধর্নায় বসার যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অন্য জায়গায় ধর্নার আয়োজন করার নির্দেশ দিয়ে সেই নামের তালিকা আদালতে পেশ করার জন্যও নির্দেশ দেন বিচারপতি। আইন ভাঙার আবেদনে শুভেন্দুকে আদালতের উত্তরের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের কটাক্ষ, “কোর্ট বিদায় করে দিয়েছে।” সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতে ধর্নার আয়োজন করার চেষ্টা করছে শুভেন্দু।

কলকাতা হাইকোর্টে বুধবারের শুনানিতে অন্য কোনও দল ১৪৪ ধারা এলাকায় ধর্না আয়োজন করেছে মানেই সেখানে শুভেন্দুও ধর্না দিতে পারবেন, এমনটা কোনও যুক্তিতে হতে পারে না। বিকল্প জায়গা নির্বাচন করে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২১ জুন তালিকা পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ পুড়ে যাওয়া বাঁচাতে কোনও উপায় না দেখে একঘণ্টার জন্যও ধর্না কর্মসূচির আবেদন জানান শুভেন্দুর আইনজীবী। যদিও আদালত কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি এই বিষয়ে।

যদিও গোটা বিষয়টি বিজেপির নিজেদের দ্বন্দ্বকে লুকাতে, দাবি তৃণমূলের। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, “নির্বাচনী বিপর্যয়। তারপরে একটা মুশল পর্ব চলছে। তার থেকে নজর ঘোরাতে এই ধরনের নাটক করতে গিয়েছিল বিজেপির নেতারা। হাইকোর্ট তো সরতে বলেছে। কোর্ট বিদায় করে দিয়েছে।”

তবে শুধুই কোর্টের সামনে নয়, নিজেদের সহযোগী আরএসএসের কাছেও যেভাবে মুখ পুড়েছে বিজেপির তা নিয়েও কটাক্ষ করা হয় তৃণমুলের পক্ষ থেকে। তৃণমূল যেভাবে বিজেপির মিথ্যাচার ও স্বৈরাচারিতা নিয়ে সরব ছিলই তাকেই কার্যত সমর্থন করেছে আরএসএস। কুণাল ঘোষ জানান, “আরএসএসের একটি পত্রিকায় সেই পর্যালোচনাগুলোই হয়েছে, যেগুলো বিজেপি আবার মানতে চায় না। তৃণমূল বাস্তবটা ভোটের আগে থেকে বলে এসেছিল। আজকে সকলে সেটা দেখতে পাচ্ছে।”