আধপোড়া কাগজ থেকে প্রশ্নফাঁসের হদিশ! নিটকাণ্ডে CBI-র তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন

কয়েকজনকে গ্রেফতার করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা মোদি সরকারের। এনটিএ সহ তাঁর সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর এক মিথ্যাচার মোদির

নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসছে। কোন কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল তা নিটের আধপোড়া প্রশ্নপত্রের সূত্র ধরেই জানতে পেরেছিল সিবিআই। এবার সিবিআইয়ের দাবি, সেই মাস্টারমাইন্ডের হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২৩ জুন নিটকাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পর কয়েকজনকে গ্রেফতার ছাড়া আর কোনও বড় পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। পুরো ঘটনায় মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি বিরোধীদের। ইতিমধ্যে সংসদে নিট, বাজেটে বঞ্চনা সহ একাধিক ইস্যুতে ঝড় তুলেছেন। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও। কয়েকজনকে গ্রেফতার করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা মোদি সরকারের। এনটিএ সহ তাঁর সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর এক মিথ্যাচার মোদির।

উল্লেখ্য, সিবিআই কোথা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল, সেই উৎসে পৌঁছতে চাইছিল।
নিট সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এনে সিবিআই জানিয়েছে, নিট-ইউজির পরীক্ষার দিন, অর্থাৎ ৫ মে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুল থেকে। ঘটনাচক্রে, হাজারিবাগের নিট পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি এই স্কুল। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর থেকেই এই স্কুলের নাম উঠে এসেছিল। স্কুলে অধ্যক্ষ, সহ-অধ্যক্ষ এবং এক কর্মীকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তদন্তকারী জানিয়েছেন, নিটের বেশ কিছু আধপোড়া প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেছিল তারা। সেই প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখার পর ঠিক কোন কেন্দ্র থেকে ফাঁস হয়েছিল, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

পঙ্কজ কুমার ওরফে আদিত্য ওরফে সাহিলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ, সহ-অধ্যক্ষ এবং এক কর্মী প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ। ধৃতদের জেরা করে সিবিআই জানতে পেরেছে যে, প্রশ্নের বাক্স স্কুলে আসার পরই পঙ্কজ কুমারকে ওই কন্ট্রোল রুমে প্রবেশ করার অনুমতি দেন অধ্যক্ষ এবং সহ-অধ্যক্ষ। বাক্স খোলার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। সেই বাক্স থেকে কিছু প্রশ্নপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এরপর সেগুলি সমাধানের জন্য হাজারিবাগের বেশ কিছু ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।