জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু! আগামী সপ্তাহেই উপত্যকায় কমিশনের ফুল বেঞ্চ

লাগাতার জঙ্গি হামলায় রীতিমতো অশান্ত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। সম্প্রতি একের পর এক হামলায় যেমন সেনা জওয়ানরা (Jawan) শহিদ হয়েছেন তেমনই পাল্টা গুলিতে খতম হয়েছে একাধিক জঙ্গিও। এমন আবহে বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের পারদ চড়তে শুরু করেছে উপত্যকায়। আর সেকারণেই নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৮ অগাস্ট মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা শ্রীনগরে পৌছবেন বলে খবর। অন্যদিকে আগামী ১০ অগাস্ট উপত্যকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ, এমনটাই সূত্রের খবর।

লাগাতার অশান্তি জারি থাকলেও জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট যত দ্রুত সম্ভব সেরে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটপর্ব শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। তাই আর দেরি না করেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অশান্ত উপত্যকায় যাওয়ার তোড়জোড় শুরু নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, ৮ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, কমিশনার গণেশ কুমার ও এসএস সান্ধু উপত্যকায় পৌছবেন। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর ১০ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ শ্রীনগরে যাবেন। সেখানকার প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হবে বলে খবর। আলোচনার পরই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে বলে খবর।

 

গত মে মাসে লোকসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরে ভোটগ্রহণ হয়। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিনই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আশাপ্রকাশ করেন, এরপর উপত্যকায় নির্বিঘ্নে বিধানসভা নির্বাচন করানো সম্ভব হবে। কিন্তু তারপর থেকেই লাগাতার জঙ্গি হামলায় অশান্ত হয়ে ওঠে ভূস্বর্গ। উল্লেখ্য, আগামী ৫ অগাস জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পঞ্চম বর্ষপূর্তি। উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে দুটি প্রথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। এরপরই কেন্দ্রের মোদি সরকারের তুঘলকি সিদ্ধান্তে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপত্যকা। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের পর থেকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে ওঠে ভূস্বর্গ। তবে এমন পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচন হলে সবকিছু নির্বিঘ্নে মিটবে তো? এই আশঙ্কাই এখন কমিশনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে খবর।