‘দায়িত্বজ্ঞানহীন বাচালতা’! বাংলাদেশের নিয়ে দিলীপকে নিশানা কুণালের, কটাক্ষ বঙ্গ বিজেপিকেও

বাংলাদেশের অবস্থার (Bangladesh Violence) সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে হিংসাকে প্ররোচনা দিচ্ছে বিজেপি, দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন বাচালতা’ বলে তীব্র কটাক্ষ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। প্রতিবেশী দেশের অস্থির অবস্থায় যখন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কথা বলছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (CM), তখন বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এই ধরণের উস্কানিমূলক মন্তব্যে বাংলায় ‘বিকৃত ভোট মার্কেটিং’ করছে বিজেপি বলে দাবি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। তিনি জানান, যদি বাংলাদেশ থেকে কেউ বাংলায় বা দেশে অনুপ্রবেশ করে থাকে তাহলে তো সেই দায় কেন্দ্রের। কুণাল এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সীমান্ত তো কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশ পাহারা দেয় না। কেন্দ্রের তরফেই বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে। এবার অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিজেদের ব্যর্থতা অস্বীকার করতে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অশান্তিকে ইস্যু করে ভোট মার্কেটিং করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই বিষয়ে অবিলম্বে কেন্দ্র হতক্ষেপ করুক। আর যদি বাংলার পদ্মনেতাদের দিল্লি সতর্ক না করে তাহলে বুঝতে হবে বাংলায় হিংসা ছড়াতে কেন্দ্রের মদত রয়েছে। পাশাপাশি দিলীপকে তীব্র আক্রমণ করে কুণাল বলেন, শুভেন্দু সুকান্তরা তো ‘দিলীপবাবুকে’ নিজের কেন্দ্র থেকেই উৎখাত করেছেন। তারপরেও এত কথা আসে কোথা থেকে?

কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি নেতারা যা বলছেন তা বিপজ্জনক। বাংলার সরকার এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং নিয়মিত আলোচনা চলছে। যদিও এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয় বলেন জানান রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। দিলীপ বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যারা নৈরাজ্য চালাচ্ছে, তারাই ভোটের পরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল’। তাঁর দাবি, ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে ভোটপরবর্তী হিংসা চালিয়েছিল এরাই। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করেছিল, খুন করেছিল। এদের মতোই লোকজন বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপর তৃণমূলের হয়ে হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি দিলীপের। প্রতিবেশী দেশের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগত বিরোধের ঊর্ধ্বে গিয়ে যখন সব দল কেন্দ্রের সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছে, তখন দিলীপের এই মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব রাজ্যের শাসকদল। কুণাল বলেন এটা কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপের সময় সস্তার রাজনীতি করার জায়গা নেই। বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা কাম্য নয়। সকলেই শান্তি চাইছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে দিলীপ বা বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যে হিংসার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন যে বাংলার সীমান্তের অনেকটা অংশ জুড়ে বাংলাদেশ বর্ডার। তাই কেন্দ্র সরকার পড়শি রাষ্ট্রের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করলে তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করাই বাঞ্ছনীয়।


Previous articleবৃহস্পতিবার শপথ অন্তর্বর্তী সরকারের, বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি তারেকের
Next articleবিনেশ ফোগত ইস্যুতে ভারতের আবেদন বাতিল করল বিশ্ব কুস্তি সংস্থা