রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন জেলেনস্কিকে আলিঙ্গন নরেন্দ্র মোদির। একদিকে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা ভারত, কীভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে তা নিয়ে দ্বিধায় রাষ্ট্রসংঘ থেকে ইউরোপ-আমেরিকা। যদিও ইউক্রেনেরে সঙ্গে সামরিক ও বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন মোদি, এই সফরেই।
গোটা বিশ্বের কাছে শান্তির দূত হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার প্রয়াস তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধেও শান্তির বার্তা হিসাবে ইমেজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন মোদি। তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম বিদেশ সফরে রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদি। সেই সময় সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তারপরই ভারতের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে দেওয়া হয় মোদির ইউক্রেন সফরের সম্ভাবনা। যদিও তার আগেই রাষ্ট্রসংঘের অধিকাংশ দেশের মতো রাশিয়ার সঙ্গে তেলচুক্তি বাতিল করেনি ভারত।
ইউক্রেন সফরে মোদির সঙ্গে জেলেনস্কির ইতিবাচক আলোচনার দাবি করেন। কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো, দুই দেশের বাণিজ্য ও সামরিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর দাবি করেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে অংশীদাররা সঠিক অর্থে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করতে সদর্থক পদক্ষেপ নিতে পারবে, তাদের মধ্যে অন্যতম ভারত।
শুক্রবারের মোদির সফরের উপর নজর রেখেছে আমেরিকাও। ইউক্রেন সফরে মোদি নিজের ভাষণে স্পষ্ট বলেছেন, ভারত বুদ্ধ-গান্ধীজীর দেশ, যেখানে হিংসা যুদ্ধের কোনও সুযোগ নেই। এরপরই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। জানানো হয় ইউক্রেনকে অতিরিক্ত সামরিক আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা। আমেরিকার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান জেলেনস্কিও।