গণধর্ষণ নয়, ধর্ষণ। আর ‘কালপ্রিট’ একমাত্র কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সঞ্জয় রায়। ডিএনএ রিপোর্টে মিলল সেই ইঙ্গিত। CBI সূত্রে খবর, নির্যাতিতা-মৃতা চিকিৎসকের দেহ থেকে যে দেহরস মিলেছিল, সেই নমুনার সঙ্গে ধৃত সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Ray) DNA-র মিলে গিয়েছে। অর্থাৎ নৃশংস ঘটনা ঘটার ১২ ঘণ্টার পরেই যে সঞ্জয়কে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, সেই মূল দোষী। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেল বলা হয়েছে, ২৪দিন ধরে সিবিআই নিষ্ক্রিয়। আর কলকাতা পুলিশই প্রকৃত অপরাধীকে ধরেছিল। এবার মৃতার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দ্রুত চার্জশিট দিক সিবিআই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ডিএনএ রিপোর্ট আসতেই অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলল। খারিজ হয়ে গেল গণধর্ষণের গুজব। ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসককের ধর্ষণ-খুনের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সিভিক ভলেন্টিয়র সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তখনই তদন্তকারীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, পাশবিক ঘটনা একাই ঘটিয়েছে সঞ্জয়। এর পর আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত ভার যায় CBI-এর হাতে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার ও আন্দোলনকারী চিকিৎসক-সহ অনেকেরই দাবি ছিল, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। কিন্তু ডিএনএ এবং ফরেনসিক রিপোর্ট সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট অনুযায়ী, চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আর কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা নেই। ফরেন্সিক পরীক্ষাও একা সঞ্জয়ের (Sanjay Ray) দিকেই ইঙ্গিত করছে। অর্থাৎ কলকাতা পুলিশ সঠিক অপরাধীকেই গ্রেফতার করেছিল। এবং তাদের তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছিল বলে এখন মনে করা হচ্ছে।ডিএনএ রিপোর্ট সামনে আসতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিশানা করেছে তৃণমূল। দলের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে,
“২৪ দিনের নিষ্ক্রিয়তার পরে সিবিআই নিশ্চিত করেছে যে কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাকে গ্রেফতার করেছিল, সেই সঞ্জয় রায়ই R G Kar-কাণ্ডে একমাত্র অপরাধী।“
এরপরেই বিরোধীদের নিশানা করে বাংলার শাসকদলের তরফে লেখা হয়, “বিজেপি এবং গোদি মিডিয়া প্রচারিত ষড়যন্ত্রের তত্ত্বগুলি ফাঁস হয়ে গিয়েছে।“
এরপরই দ্রুত তদন্ত চেয়ে লেখা হয়, “আমরা এখন চার্জশিট জমা এবং দেরি না করে বিচারের দাবি করছি।“
After 24 days of INACTION, @CBIHeadquarters confirmed what @KolkataPolice established in 24 hours – Sanjay Roy was the SOLE PERPETRATOR in R G Kar tragedy.
The conspiracy theories circulated by @BJP4India & Godi media have been EXPOSED.
We now demand that the chargesheet be…
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 6, 2024
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এ সম্পর্কে বলেন, গণধর্ষণ বা ধর্ষণ- দুটোই অতন্ত খারাপ কাজ। ফাঁসির সাজা হওয়া উচিৎ। কিন্তু ঘটনার পরেই কলকাতা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করার পরে রব ওঠে ওটা গণধর্ষণ। আসল ঘটনা কী? তথ্যপ্রমাণ যা জানাবে সেটা জানাক CBI। এই নিয়ে কোনও জল্পনা বা মনগড়া কথা বলা উচিৎ না। তবে, অনুমান ভিত্তিক প্রচার চালিয়ে যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছিল- সিবিআই রিপোর্ট দিলেই তা স্পষ্ট হবে-মন্তব্য কুণালের।
সিবিআই সূত্রে খবর, ডিএনএ রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক চার্জশিট তৈরির প্রক্রিয়া শেষ করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ এখন সোমবারের শুনানিতেই সবার নজর।