সোমবার বাংলাদেশ যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি (Vikram Misri)। তার আগেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত করার চেষ্টা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলির। তবে উস্কানিতে কান দিচ্ছে না ভারত। শান্তির পথ খোলা রাখা হচ্ছে, এই এই বার্তা দিতে এই পরিস্থিতিতেও দু’দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (border security forces) যৌথ প্রদর্শন চলছে বাংলায়।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে দুদেশের সম্পর্ক খারাপের দায় ভারতের। অথচ একের পর এক সে দেশে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা হচ্ছে। প্রাক্তন সেনাপ্রধানদের মিছিল থেকে চার দিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুমকি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বাংলাদেশের সেনার ক্ষমতা প্রদর্শনেরও। এতেই থেমে থাকেননি তারা। ভারতে তৈরি কাপড় পোড়ানোর পর ভারত বিরোধিতায় সক্রিয় বিএনপি’র (BNP) যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি। এবার বাংলা বিহার ওড়িশা দখলের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক বার্তার পরেও চুপ মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে সে দেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলিও মাথা ছাড়া দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ভারতের ইসকনের (ISKCON) প্রকাশিত ভিডিওতে দেখানো হয় ইসলামী ও মৌলবাদী নেতারা আবার বাংলাদেশ নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ইসকনকে সমূলে উপড়ে ফেলতে ধর্মগুরুদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। সংখ্যালঘু অত্যাচারে বাংলাদেশ প্রশাসন যে নীরব তার আরও প্রমাণ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chnimay Krishna Das) জেল মুক্তি না হওয়া। ভারতের রামকৃষ্ণ মিশনের তরফ থেকে যখন চিন্ময় দাসের মুক্তির আবেদন জানানো হয় তখনই রবিবার ফের চিন্ময় সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের হয়।

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই সোমবার বিদেশ সচিব (foreign secretary) বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক। সেখানেও যে খুব একটা কড়া বার্তা ভারতের তরফ থেকে দেওয়া হবে না তার প্রমাণ মেলে শনিবার। শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে (Fulbari) সীমান্তে যৌথ প্রদর্শনী করে বিএসএফ (BSF) ও বিজিবি (BGB)। বিএসএফ আধিকারিক জানান দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোন অশান্তি নেই তারা সীমান্তে শান্তি রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করছেন।

