বাংলাদেশে জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্য একটি রাষ্ট্রের বিষয়। সেখানে এভাবে একটা স্লোগানকে মিলিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তার স্পষ্ট কথা, দুই বাংলার মধ্যে নারীর টান আছে। ভাষা এক, সংস্কৃতির মিল আছে, অভিন্ন হৃদয়। দুই বাংলার লড়াইয়ের ইতিহাস বিশ্বব্যাপী মানুষ জানেন। সেখান থেকে এই কথাটি উঠে এসেছে।

যে স্লোগানটা বাংলার প্রতি ভালবাসায় প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। আমরাও বলি জয় বাংলা। দুই বাংলার মধ্যে একটা নাড়ির টান আছে। বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি তাতে ওনারা যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার বিরুদ্ধে এপার বাংলায় বসে আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারিনা। বাংলা সংস্কৃতি, বাংলার চেতনা, বাংলা ভাষা সবকিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত এই ‘জয় বাংলা’। এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়।

আমরা দুই বাংলার বন্ধুত্ব, সম্পর্ককে বজায় রাখতে চাই। কিন্তু কতিপয় মানুষ তারা বাংলাদেশে যা করছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের দিনের অন্যতম জনপ্রিয় নেত্রী। এটা নতুন করে বলতে লাগে না। শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্ব জানে যে তিনি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে ভালোবাসেন।নাম না করে বিরোধী নেতার উদ্দেশ্যে কুণাল বলেন, এরা কারা যারা বলছে কলকাতা দখল করবে। যারা বলছে বাংলা-বিহার ছিনিয়ে নেবে। কিসের জন্য এই ধরনের কথাবার্তা প্রশ্ন তলেন কুণাল।

তার সাফ কথা, যে ভারতবর্ষ না থাকলে বাংলাদেশ জন্মই নিত না, তাদের মুখে এপার বাংলা সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা মানায় না।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও বিরূপ মন্তব্য হাস্যকর শুধু নয়, অপ্রাসঙ্গিক।বিজেপি নেতারা এখানে কেন বড় বড় কথা বলছেন। বাংলাদেশের খারাপ কাজ বন্ধ করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারকে করতে হবে, আর সেখানে তো বিজেপি আছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবই তো ওদের।সীমান্ত দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রের, সেখানে রাজ্যের কোনও হাত নেই।.
