রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে না পেরে এবার খুন-জখমের পথে হেঁটে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে কুলপি, পরপর খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল কর্মীরা। সমবায় ভোটে হেরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হল তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে। রবিবার তমলুক সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে থেকেই বিজেপি হিংসা শুরু করেছিল। বিজেপি পরাজয় মানতে না পেরে হিংসার পথ বেছে নিল। এই ঘটনার পর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগামিকাল, বুধবার নন্দীগ্রাম যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

এই দলে রয়েছেন সাংসদ দোলা সেন, আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিষ্ণুপদ মণ্ডলের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতেও তৃণমূল নেতা খুনে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম ইলিয়াস হালদার এবং রউফ হোসেন হালদার। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় গাজিপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য নুরউদ্দিন হালদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। তাঁর ভাই ইসমাইলও দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

আরও পড়ুন- আজই দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী, খতিয়ে দেখবেন জগন্নাথ মন্দিরের কাজ

নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা গা শিউরে ওঠার মতো। রবিবার রাতে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামে বিজেপি কর্মীদের সশস্ত্র বাহিনী চড়াও হয় তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলের বাড়িতে। বাড়ি থেকে টেনে এনে ভোজালি দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। বেধড়ক মারধর করা হয় বিষ্ণুর দাদা বুথ সভাপতি গুরুপদ মণ্ডলকেও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুপদর। গুরুতর জখম গুরুপদকে ভর্তি করা হয় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রবিবার তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ভোটে গোহারা হারে বিজেপি। ভোটে হারার পর সেই উত্তেজনার পারদ আরও ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম-১ এবং ২ নম্বর ব্লকে বিজেপি ১৩টি আসনে জয়ী হয়। সেই জয়ের দম্ভ পর্যবসিত হয় ভোট-পরবর্তী প্রতিহিংসায়। আর সেই তাণ্ডবের শিকার হন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামের তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডল।