আড়াই দিন পার, তিন বছরের ‘চেতনা’ উদ্ধারে এবার নিষিদ্ধ পদ্ধতিতেই ভরসা!

৭০০ ফুট গভীর কুয়োয় আটকে পড়েছে তিন বছরের শিশু (Rajasthan Child Rescue Operation)। গত ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) বাবার সঙ্গে ক্ষেতে খেলতে খেলতে সুড়ঙ্গের মতো বোরওয়েলের একটা অংশে আটকে যায় রাজস্থানের (Rajasthan) কোটপুতলির বাসিন্দা একরত্তি চেতনা। তারপর থেকে সমানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু ৬৫ ঘণ্টা পরেও এখনো পর্যন্ত শিশুটিকে কুয়ো থেকে বের করা সম্ভব হয়নি। যত সময় গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে উদ্বেগ। এখন শেষ ভরসা র‌্যাট হোল মাইনার্সরা (Rat Hole Miners)। জানা গেছে বৃহস্পতিবার এনডিআরএফ (NDRF), এসডিআরএফের উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিষিদ্ধ হওয়া র‌্যাট হোল মাইনিং পদ্ধতিতে বোরওয়েলের পাশে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে। সকাল থেকেই চলছে তোড়জোড়।

নাম শুনেই বোঝা যায় ইঁদুরের কায়দায় গর্ত খোঁড়ার সঙ্গে ‘র‌্যাট-হোল মাইনিং’ শব্দটার একটা সম্পর্ক রয়েছে। এককালে খনি থেকে আকরিক উত্তোলনের কাজে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হত। ঝুঁকিপূর্ণ এই প্রক্রিয়ায় শাবল-গাঁইতি দিয়ে খুব সঙ্কীর্ণ গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে এগোতে হয় শ্রমিকদের। একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে ২০১৪ সালে ‘র‌্যাট-হোল মাইনিং’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। যদিও ২০২৩ সালের নভেম্বরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনকে এই পদ্ধতিই নিতে হয়েছিল বটে। এখন প্রশ্ন নিষিদ্ধ র‌্যাট-হোল মাইনিং এর মাধ্যমে ১৫০ ফুট গভীরে পড়ে আটকে থাকা শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে কি? শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত তাঁকে দেখাও যাচ্ছে না। কী হবে এরপর?