প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) বরাবর ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রাধান্য রেখে এসেছে বাম ও আইসি-র (Independents’ Consolidation) ছাত্র সংগঠন। সেই অনুষ্ঠান ঘিরেই নজিরবিহীন অশান্তি দেখল শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র। এমনকি মুখ পুড়ল শিল্পীর কাছেও। গণ্ডগোলের সময় মঞ্চে উপস্থিত শিল্পী অভিজিৎ বর্মণ ওরফে পটা এই ঘটনায় অত্যন্ত বিরক্তি ও বিস্ময় প্রকাশ করেন।

শুক্রবার প্রেসিডেন্সির ভাষা দিবসের (International Mother Language Day) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠান দেখতে আয়োজক আইসি (IC) ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়াদের পাশাপাশি ব্যাপক সংখ্যায় উপস্থিত ছিল এসএফআই (SFI) সমর্থক পড়ুয়ারাও। সেই সঙ্গে অবাধ প্রবেশের মতো ঢুকে পড়ে বহিরাগত যুবকরাও, এমনটাই অভিযোগ। আবার প্রাক্তনীরাও যোগ দিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। সমস্যা শুরু হয় অনুষ্ঠানের একেবার শেষদিকে।

সেই সময় মঞ্চে গান গাইছিলেন পটা। আচমকাই মঞ্চে উঠে পড়েন এক পড়ুয়া। শিল্পীর গানের মধ্যেই মাইক খুলে নিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করতে থাকেন। এসএফআই (SFI) সমর্থক পড়ুয়া দাবি করেন, বহিরাগতরা তাঁদের শ্লীলতাহানি করেছে। হেনস্থার শিকার হয়েছে একাধিক ছাত্রী। তারপরেও আয়োজক আইসি (IC) সংগঠনের তরফ থেকে সেই অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করার আগে ছাত্রীরা সরাসরি মঞ্চের শিল্পীকে অপমানের পথ বেছে নেন।

এই ঘটনার পরই মঞ্চ ছেড়ে নেমে যান শিল্পী পটা। অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে তাঁর দাবি, নিজেদের মধ্যে অশান্তির কারণে যেভাবে গান বন্ধ করে দেওয়া হল তা যে কোনও শিল্পীর কাছে অসম্মানের। প্রেসিডেন্সির (Presidency University) মতো শিক্ষাঙ্গন থেকে এটা অভিপ্রেত নয়। তবে শিল্পীকে অসম্মান করেই শান্ত হয়নি এসএফআই (SFI) ও আইসি (IC) দুপক্ষ। মধ্যরাত পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও বচসা চলতে থাকে। শনিবার জোড়াসাঁকো থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়।
–

–

–

–

–

–
