মেয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার ও নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের অকালমৃত্যুর অভিঘাত সামলাতে পারেননি হুগলির চন্দননগরের (Chandannagar) বাসিন্দা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। দুরারোগ্য ক্যানসারে স্বামীকে হারিয়েছেন আগেই। তার পর পরিবারের সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মেয়ে। জানা গিয়েছে দেনায় জড়িয়ে আছে সুতন্দ্রার পরিবার! সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জি জানান, প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে তাদের। এত ঋণ শোধ হবে কী ভাবে? তা নিয়ে চিন্তায় ঘুম ছুটেছে।

রবিবার গভীর রাতে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে (Panagarh) ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH-19) এবং পুরনো জিটি রোডের সংযোগস্থলে গাড়ি উল্টে মারা যান সুতন্দ্রা। সুতন্দ্রার মা জানান, ‘প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে আমাদের। সেই দেনা কী করে মিটবে, তা নিয়ে মা-মেয়ে চিন্তায় ছিলাম। ইভেন্টের কাজ করে মেয়ে চেষ্টা করছিল দেনা শোধের। কিন্তু সেটা আর হবে না। আমার মেয়েটাই তো চলে গেল!’

বাড়ি ও দোকান ঘর দুটোই ব্যাঙ্কে মর্টগেজ (mortgage) রেখে লোন নিয়েছিলেন সুতন্দ্রার বাবা সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। রেলের ঠিকাদার ছিলেন তিনি। চন্দননগরের (Chandannagar) নাড়ুয়ায় তাঁর বাড়ি ও চন্দননগর পালপাড়ায় ধরগলি এলাকায় তাদের একটি দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ে মন্দা ও নিজের ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বহু টাকা খরচ হয়ে যায় সুতন্দ্রার বাবার। তারপরেই দোকান ও বাড়ি মর্টগেজ রেখে লোন নেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারই তাঁদের দোকানে ব্যাঙ্ক (bank) থেকে নোটিশ লাগানো হয়। তারপরেই আরও অসহায় বোধ করছেন তনুশ্রীদেবী। আগামী দিনে হয়তো বাড়িটাও চলে যাবে। মাথার উপর ছাদটাও হারাতে হতে পারে তাদের।

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি! উজ্জ্বলা-য় মিলছে না সিলিন্ডার, ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা

_

_

_

_

_

_

_
