যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসাকে উস্কানি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তথা গোটা রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করেছে একশ্রেণির ছাত্র ও ছাত্র সংগঠন। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) উপর হামলার ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট অধ্যাপকরা। চার ঘণ্টা ধরে চলা অরাজকতার বর্ণনা দিতে গিয়ে কার্যত শঙ্কিত রাজ্যের প্রথম সারির অধ্যাপকরা। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একদিকে যাদবপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অন্য়দিকে শনিবারের গোটা পরিস্থিতি বর্ণনা করেন ওয়েবকুপার (WBCUPA) সদস্য থেকে হামলায় আক্রান্ত যাদবপুরের পড়ুয়ারা।

বাম ছাত্র সংগঠনের হামলার ঘটনায় মুখ পুড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University)। গোটা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপকদের সামনে যে ছবি তারা শনিবার তুলে ধরেছে তা বর্ণনা করতে গিয়ে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র (Omprakash Mishra) জানান, পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় শিক্ষক সংগঠন নির্দিষ্টভাবে একটা ছুটির দিনে বার্ষিক সভা সংঘটিত করতে চেয়েছিলেন। তার জন্য যাবতীয় অনুমতি নিয়েছিলেন। যখন জানতে পারেন কিছু ছাত্র সংগঠন ডেপুটেশন (deputation) দিতে চান,তখন আয়োজকরা বলেন ওয়েবকুপার (WBCUPA) কার্যকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। চারঘণ্টা ধরে ক্রমাগত অবিরাম ভয়ঙ্কর অব্যবস্থা সৃষ্টি করার চেষ্টা কিছু ছাত্র ও তাদের সংগঠন করে গিয়েছে।

সেই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) উপর হামলায় কীভাবে উস্কানি দেওয়া হয়েছে তা বলতে গিয়ে মিশ্র বলেন, সর্বশেষে যেটা হয়েছে সেটা আপনারা সবাই জানেন। কীভাবে একজন অধ্যাপক, গুণী শিল্পী, ওয়েবকুপার প্রেসিডেন্ট ও রাজ্যের মন্ত্রী তাঁকে কীভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। কীভাবে তাঁর উপর আক্রমণ শানিত করা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সার্বিক একটা অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করে কার্যত হিংসাকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে বদনাম করার ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে সারা রাজ্যকে বদনাম করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

অরাজকতার পরিবেশে হেনস্থা করা হয় ওয়েবকুপার (WBCUPA) বার্ষিক সভায় যোগ দিতে আসা অধ্যাপকদেরও। রবিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা সেই পরিস্থিতি বর্ণনা করেন। অধ্যাপক প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বর্ণনা করেন, যাদবপুরে বাংলাদেশের (Bangladesh) সমান আন্দোলনের উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের সেই সময়ে বিরত থাকার আবেদন করলে মুখোপাধ্যায়কে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। এই সাংবাদিক বৈঠকে যাদবপুরের আক্রান্ত দুই পড়ুয়া সঞ্জীব প্রামাণিক, কিশলয় রায় উপস্থিত ছিলেন। পড়ুয়া অরিন্দম বিশ্বাস শনিবারের ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি জানান ওয়েবকুপার সম্মেলনে ভলান্টিয়ার হিসাবে উপস্থিত থেকে শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলা ঠেকাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় পাথর ছোঁড়া হয়। এরপরই প্রবল ধাক্কায় তিনি পড়ে যান। ও মাথায় গুরুতর চোট পান।
–

–

–

–

–

–

–
