আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামী ইতিহাস তুলে ধরে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্ট করে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় গোটা রাজনৈতিক আন্দোলনকে স্মরণ করিয়ে দেন। বিস্তারিত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথম ‘অগ্নিকন্যা’ বলে কে চিহ্নিত করেছিলেন।

কোনো ভুল ধারণা রাখবেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘অগ্নিকন্যা’ শব্দটি প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন কলকাতার 37 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর ডাঃ কে পি ঘোষ। রবীন্দ্র সরোবরে মমতাদির নেতৃত্বে সবুজ বাঁচাও আন্দোলনে সামিল নাগরিক সমাজের কর্মসূচি থেকেই…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 8, 2025
নারী সংগ্রামের কথা বলতে গেলে অবধারিতভাবেই একটি নাম উঠে আসবে, তিনি হলেন ‘অগ্নিকন্যা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা মনে করিয়ে কুণাল লেখেন, টালির চালের ঘরের বাসিন্দা অগ্নিকন্যা ৩৪ বছরের শাসকদের হারিয়ে বাংলার সিংহাসনে বসার যাত্রাপথটাও নারীশক্তির জয়ধ্বনির আত্মবিশ্বাসী ধারাভাষ্য। রক্তাক্ত হাজরা রোড থেকে মহাকরণের অলিন্দে পৌঁছনোর কালচক্রে ধ্বনিত হয় মহালয়ার আবাহনীর সুর।
পুরনো দিনের স্মৃতিচারণায় তিনি লেখেন, ছাত্র পরিষদ করাকালীন নয়ের দশকের শেষদিকে আন্দোলনের ময়দানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম আলাপ। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তিনি তুলে ধরেন একে একে। ধারাবাহিক পোস্টে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোকে প্রথম ‘অগ্নিকন্যা’ সম্বোধনের কাহিনি। কুণাল লেখেন, কোনও ভুল ধারণা রাখবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘অগ্নিকন্যা’ শব্দটি প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন কলকাতার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর ডাঃ কে পি ঘোষ। সেই কারণে ডাঃ ঘোষকে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিস্তর লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছিল।

আরও পড়ুন- ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানায় এল ‘পলাশ’, নতুন সদস্যের নাম রাখলেন বনমন্ত্রী

_
_

_

_

_

_

_

_

_