কেন্দ্রের বঞ্চনার পরেও চাপবে না অতিরিক্ত করের বোঝা! বিধানসভায় স্পষ্ট জানালেন অর্থমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় সরকারের লাগাতার বঞ্চনার পরেও রাজ্য সরকার মানুষের উপরে কোনও অতিরিক্ত করের বোঝা চাপাবে না। বুধবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তিনি আরও জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, বাংলার বাড়ি, জয় বাংলা, কৃষক বন্ধু সহ সকল সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দের কোনও অভাব হবে না।

বুধবারের অধিবেশনে ফিসকাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট সংশোধনী বিল এবং দুটি অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল পেশ করা হয়। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তার জবাবী ভাষণে জানান, আগামী আর্থিক বছরে রাজ্য সরকারের কর ও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বছরের তুলনায় ২৯ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা বেশি।

তিনি আরও বলেন, রাজ্যের আয় বাড়ানোর জন্য কোনও নতুন কর চাপানো হবে না। বরং সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য নতুন উপায় খোঁজা হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১৫ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা এবং কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৫৭৮১ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানানো হয়। এছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০০০ কোটি টাকা বাড়তি মূলধনী ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান।

রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রসঙ্গে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যের গড় মাথাপিছু জিএসডিপি ৯.৯১ শতাংশ, যা কেন্দ্রীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি আরও জানান, আগামী আর্থিক বছরে রাজ্য ৮১ হাজার ৯৭২ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, তবে তা রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের তিন শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার আলোচনা চলাকালে বলেন, আর্থিক শৃঙ্খলা মেনে চলার ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে বাংলা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৯-‘৩০ আর্থিক বছর পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ৩ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের জন্য ০.৫% ঋণ নিতে পারবে রাজ্য। এই বিলগুলি বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে ধ্বনি ভোটে পাস হয়।

আরও পড়ুন- ফের রাম-বাম যোগ প্রকাশ্যে: সুবর্ণর বদলি নিয়ে সরব শুভেন্দু, ধুয়ে দিলেন কুণাল

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_