বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মানুষ অনেক সুলভে পাচ্ছেন খাদ্যশস্য ও সবজি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুফল বাংলা স্টলে সুলভ মূল্যে খাদ্যশস্য এবং সবজি বিক্রির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, বাংলা অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি রুখতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিই। সিংহভাগ বিজেপি-এনডিএ শাসিত রাজ্যেই মূল্যবৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের থেকে অনেক বেশি।

সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের ১৩টি রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধির হার শোচনীয়। এই ১৩টি রাজ্যের মধ্যে আটটি বিজেপি ও এনডিএ শাসিত। বাকি পাঁচটি রাজ্য হল জম্মু-কাশ্মীর, কেরল, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও কর্নাটক। সেই তুলনায় বাংলা রয়েছে অনেক ভালো জায়গায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার বাংলার গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সস্তায় খাদ্যশস্য ও সবজি দিতে সক্ষম হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এমনকী শহরাঞ্চলেও মানুষকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে স্বস্তি দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলার সরকার।

সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ব্যাঙ্কের গ্রুপ চিফ ইকোনমিক অ্যাডভাইসার সৌম্যকান্তি ঘোষের নেতৃত্বে সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি করা হয় রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৩.৭৯ শতাংশ। এই জাতীয় হারকে টপকে গিয়েছে সিংহভাগ ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য। গোয়ার গ্রামাঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬.২ শতাংশ। ছত্তিশগড় (৫.৬), মধ্যপ্রদেশ (৪.১), ওড়িশা (৪.৩), হরিয়ানা (৪.৫), বিহার (৪.৩), উত্তরপ্রদেশ (৩.৮) এবং পুদুচেরি (৪.২)। সেই হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৩.১ শতাংশ।

এই মূল্য বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের থেকে অনেকটা কম। সার্বিকভাবে অর্থাৎ গ্রাম ও শহর মিলিয়ে গোটা দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৬১ শতাংশ। এক্ষেত্রে এগিয়ে বাংলা। বাংলার মূল্যবৃদ্ধি হার জাতীয় ঘরের থেকে কম ৩.১ শতাংশ। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বামশাসিত কেরল (৭.১ শতাংশ)। পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধির হার অপেক্ষাকৃত একটু বেশি। সর্বাপেক্ষা বেশি ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশে। সেখানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৯.৬ শতাংশ।


–


–

–

–

–
–

–

–