গুজব এবং ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না, সাফ জানালেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যে দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনী কাজ করছে, তা দেশ ও জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।ঢাকা সেনানিবাসের সেনাপ্রাঙ্গণে সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

জানা গিয়েছে, সেনাপ্রধান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব, উসকানিমূলক বক্তব্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা বলেন। ঢাকার বাইরের সেনা কর্তারা ভার্চুয়ালি ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেন। আধিকারিক ও সৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, তাদের আত্মত্যাগ দেশ সব সময় স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনও উসকানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানোর বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উসকানিদাতাদের লক্ষ্যপূরণ হয়।

তার স্পষ্ট বক্তব্য,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদার। সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে সরকার জানে, জনগণও জানে।অথচ, নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু দেশে কোনও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। অনেকে নানা ভুল তথ্য, নানাভাবে ছড়াচ্ছে, এতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি সামলাতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। সেনাবাহিনীর কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশ ও দেশের জনগণ।সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সামনে ঈদ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। যদি কোনও কারণে কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, কঠোরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।বাংলাদেশের সেনা যে গোটা বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পর সাবাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সেনাবাহিনীকে যদি দিনের পর দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়, ইউনূস সরকার তবে ঠিক কী করছে? জামাত, ছাত্রদল এবং ইউনূসের ব্যর্থতাই কী প্রমাণ করে না এই পরিস্থিতি?


বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সাডে় সাত মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে শাসনকার্য পরিচালনায় বার বার ইউনূস সরকারের ব্যর্থতাই স্পষ্টরূপে ধরা দিয়েছে। দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু-খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার, সিদ্ধান্তহীনতা সরকারকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আর তাতেই সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।


–

–

–

–
–

–

–