তৃণমূল ভবন অভিযান! আইনি পথ ছেড়ে চাকরিহারাদের বিপথ গমন

বিকাশবাবুর (Bikash Ranjan Bhattacharya) মামলার জন্য যে যোগ্যদের চাকরি আটকেছে তাদের বিকাশবাবুর, সিপিআইএম (CPIM) অফিস ঘেরাও করা উচিত

রাজ্যের চাকরিহারা শিক্ষক সমাজের জন্য আইনি পথে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। কোনও যোগ্য ব্যক্তির চাকরি যাতে না যায়, তার জন্য একের পর পদক্ষেপ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার মধ্যেই এক শ্রেণীর যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের বারবার রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এবার চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা তৃণমূল ভবন (Trinamul Bhavan) অভিযানে। সেখানেই শাসকদলের প্রশ্ন, তবে কেন সিপিএমের (CPIM) পার্টি অফিস ঘেরাও হবে না, যারা ২৬ হাজারের চাকরি বাতিলে পৈশাচিক উল্লাস করেছিল।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণে অযোগ্য বলে চিহ্নিত নন এমন শিক্ষকরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজেদের স্কুলে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। তার মধ্যেই রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। যদিও যোগ্য চাকরিহারাদের (untainted teachers) দাবি তারা আর পরীক্ষায় বসবেন না। সে ক্ষেত্রে যোগ্যদের চাকরি টিকিয়ে রাখতে শীর্ষ আদালতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার তৃণমূল ভবন অভিযান করেন চাকরিহারাও শিক্ষাকর্মীরা।

সিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে রাজ্য সরকার ও তার প্রতিটি সংস্থা আইনি পরামর্শ নিয়ে চলেছে। তাতে সহযোগিতা করছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। অথচ তাদের থেকে সরে এসে অন্য আন্দোলনের পথে শিক্ষাকর্মীদের একাংশ।

রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের মাঝে এই ধরনের পদক্ষেপের সমালোচনায় রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আপাতত একটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। তারপরে আরও কি করা যায় তারা দেখছে। তাতে বুক ফেটে যাচ্ছে বিকাশ ভট্টাচার্য ও সিপিআইএমের। সবার চাকরি চলে যাওয়ায় তারা পৈশাচিক আনন্দ করেছিল। বিকাশবাবুর (Bikash Ranjan Bhattacharya) মামলার জন্য যে যোগ্যদের চাকরি আটকেছে তাদের বিকাশবাবুর, সিপিআইএম (CPIM) অফিস ঘেরাও করা উচিত। কিন্তু এই ধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক ঘেরাও, পার্টি অফিস ঘেরাও রাজনীতিতে কোন লাভ হয় না।