ভারত থেকেই পাক সেনা নিয়ে গিয়েছে পুর্নমকে: পরিবারের তথ্য পেশ কল্যাণের

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyna Banerjee) জানান, জওয়ানের বাবা-মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের সীমানার মধ্যে একটি গাছের তলায় বসেছিল

সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ায় পাক সেনা এসে তুলে নিয়ে গিয়েছে বাংলার বিএসএফ (BSF) জওয়ান পুর্নমকুমার সাউকে। হুগলির রিষড়ার জওয়ানের পরিবারের দাবিতে চাঞ্চল্য। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সেই সত্য সামনে আনলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। কার গাফিলতিতে এভাবে বাংলার যুবক আটক পাকিস্তানের সেনার হাতে, প্রশ্ন সাংসদের।

পাঁচদিন ধরে পাক সেনার হাতে বন্দি হুগলির পুর্নমকুমার (Purnamkumar Shaw)। পহেলগাম পরবর্তী পরিস্থিতিতে যা পরিবারে কাছে একটা বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্দি জওয়ানকে ছাড়িয়ে আনতে দুদেশের মধ্যে একাধিক ফ্ল্যাগ মিটিং (flag meeting) হয়েছে। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি রবিবার পর্যন্তও। আশ্চর্যজনকভাবে বিএসএফ-এর (BSF) পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি পরিবারের সঙ্গে। শেষে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় যোগাযোগ করেন বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে। তারপরে রবিবার বিএসএফ-এর ডিজি জওয়ানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ভরসা দেওয়া চেষ্টা করেন।

পরিবার এখনও কেন্দ্রের সরকারের উপর ভরসা করে রয়েছে। কিন্তু এই ভরসা কতদিন থাকবে প্রশ্ন তুলে কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা এখনও কেন্দ্রের উপরই ভরসা করে রয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ভরসাই শেষ ভরসা। কিন্তু দুই দিন, তিন দিন ভরসা থাকার পরে ভরসা হারাতে পারি ওদের উপর। কতদিন অপেক্ষা করতে হবে। কার গাফিলতি এখনও চিহ্নিত করতে পারলে না।

সেখানেই পরিবারের দাবি তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalynan Banerjee) জানান, জওয়ানের বাবা-মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের সীমানার মধ্যে একটি গাছের তলায় বসেছিল। তার সহকর্মীরা ফোনে জানিয়েছে, ভারতের সীমানার মধ্যে পুর্নম বসেছিলেন। সেখানে এসে পাকিস্তানের সেনা তুলে নিয়ে গিয়েছে। তাহলে গাফিলতি তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA)। বিএসএফ জওয়ান যে এখনও আসছে না, এই জবাব তো অমিত শাহকে (Amit Shah) দিতে হবে। আমরা কতদিন ধৈর্য ধরব, প্রশ্ন কল্যাণের।

ধর্মের খেলা নিয়ে ব্যস্ত নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কল্যাণের প্রশ্ন, ভারতবর্ষকে নিরাপত্তা দিন। ধর্মে ধর্মে খেলা বন্ধ করুন। রামমন্দির করতে গিয়ে আপনি ভারতবর্ষের প্রতি কর্তব্যগুলো করেননি। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সন্ত্রাসবাদী (terrorist) যারা আসে তারা শুধুই সন্ত্রাসবাদী। কী করে তারা ভারতে ঢুকে গেল। আর যখন ঢুকে মারল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন।