বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে বাঙালির পদচিহ্ন পড়ার আনন্দ নিমেষে মিলিয়ে গেল মৃত্যুর দুঃসংবাদে। বৃহস্পতিবার রাতে খবর আসে রানাঘাটের (Ranaghat) দুই পর্বতারোহী সুব্রত ঘোষ ও রুম্পা দাস (Subrata Ghosh and Rumpa Das) দুর্গম এভারেস্টের (Everest) চূড়ায় পা রাখেন। সামাজিক মাধ্যম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে শুভেচ্ছা বার্তা। কিন্তু রেকর্ড গড়া আনন্দের মুহূর্ত বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। জানা গিয়েছে, শৃঙ্গ জয়ের পর নামতে গিয়ে ৪ নম্বর বেসক্যাম্প অসুস্থ হয়ে পড়েন সুব্রত। শুক্রবার ভোরে তাঁর মৃত্যু (ranaghat man Subrata died after climbing everest) হয়েছে বলে জানা গেছে। আরেক পর্বতারোহী রুম্পাও যথেষ্ট অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে নীচে নামানো হচ্ছে।

তিন বছরের অপেক্ষার অবসানে এভারেস্টে পা দুই বঙ্গসন্তানের। গোটা বাংলার কাছে গর্বের মুহূর্ত। তবে সাফল্যের মুহূর্ত উপভোগের আগে উদ্বেগের ছায়া গ্রাস করল। শোনা যায় এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুব্রত ও রুম্পা দুজনেই। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। এরপর বেসক্যাম্পে সুব্রতর মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই অভিযানে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ফিলিপিন্সের অভিযাত্রী ফিলিপ সেন্টিগো। তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে (যদিও এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত খবর মেলেনি)। ২০২২ সালে পিয়ালি বসাক সর্বশেষ বাঙালি হিসেবে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেছিলেন। এরপর তিন বছর কেটে গেলেও কোনও বাঙালি এভারেস্টে ওঠেননি। এবার বঙ্গ সন্তানদের হাত ধরেই বাংলার মুকুটে জুড়ল পালক। পর্বতআরোহী সুব্রত রানাঘাটের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে রানাঘাটের আরেক বাসিন্দা রুম্পার সঙ্গে এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়লেও ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মেনে ছিল সবটাই। স্বপ্ন সত্যিও হল। কিন্তু শেষটা সুখের হল না। সুব্রতর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া রানাঘাটে।

–

–

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–
