নারী সুরক্ষা হোক বা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো—কেন্দ্রীয় রিপোর্টে দেশের মধ্যে এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ।বৃহস্পতিবার, ১২ই জুন বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস উপলক্ষে কলকাতার রোটারি সদনে রাজ্যের শ্রম দফতরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা সহ শ্রম দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকরা। এই অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ছিল, “শিশুশ্রম নয়, শিক্ষাই হোক শিশুদের অধিকার”।
২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্প (NCLP) বন্ধ করে দেওয়ার ফলে রাজ্যের প্রায় ১৬ হাজার শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ে। এই প্রকল্পে প্রতি শিশুকে মাসে ৪০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হতো। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কাটিয়ে শিশুদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড-এর মতো একাধিক জনমুখী প্রকল্পের ফলে শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “শিশুশ্রম প্রতিরোধে সমাজের সবস্তরে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর শ্রম দফতরের সঙ্গে মিলেই এই কাজে এগোবে।” তিনি জানান, সরকারি উদ্যোগে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা গত এক বছরে শূন্যে এসে ঠেকেছে।
শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “শিশুদের কাজে যাওয়া আটকাতে হলে তাদের শিক্ষায় যুক্ত করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলছুটের হার কমছে, এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সেই কাজে বড় ভূমিকা নিয়েছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুশ্রম বন্ধে কেবল আইন নয়, দরকার সামাজিক সচেতনতা ও পরিবারের আর্থিক সহায়তা। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ এখন সেই পথেই দৃঢ় ও লক্ষ্যনীয়।
আরও পড়ুন – গাড়ি চাপা নয়, সিসিটিভি ফুটেজে কালু-র মৃত্যু নির্মম সত্যি প্রকাশ্যে!
_
_
_
_
_
_
_
_
_