বিধানসভা (Assembly) অভিবেশন চলাকালীন তুমুল হৈ হট্টগোল। সভা ভন্ডুল করার অপচেষ্টা। বিজেপির এই ধরনের আচরণে ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ। সোমবার, সব সীমা লঙ্ঘন করে হাতাহাতি করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। এর ফলে অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul), মনোজ ওঁরাও, দীপক বর্মন, শংকর ঘোষকে (Shankar Ghosh) পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। গত বৃহস্পতিবার কেন বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সেই নিয়ে এদিন বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান পদ্ম নেতারা। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তে বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য় মুছে দেওয়া হয়। এর পরেই সভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) বলেন, বিধানসভাকে কুস্তির আখড়া বানিয়েছে বিরোধীরা। মাইক চেয়ার ভেঙেছে। বিধানসভা গণতন্ত্রের মন্দির। সেখানে এই অভব্য আচরণ কল্পনারও বাইরে।

গত বৃহস্পতিবার কেন বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়। এদিন, কেন বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য মুছে ফেলা হয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। এর উত্তর দেন চন্দ্রিমা। এরপর শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। চলে স্লোগান ও কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হন খোদ অধ্যক্ষ। অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় মার্শালের কলার ধরে ধাক্কা দেন। আরেক বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীও মার্শালকে চেপে ধরেন। নিরাপত্তারক্ষীরা পাল্টা সবাইকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সাসপেন্ড করে দেওয়ার হুঁশিয়ারির পরেও থামে না স্লোগান ও পাল্টা স্লোগান। এরপরেই চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ।

এর পরেই বিজেপি বিধায়করা বেরিয়ে যান। তার পরে অধিবেশন শুরু হলে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাই অধিবেশন কক্ষে ঢোকেন। একটা টুকরো স্পিকারকে দেখান। ক্ষুব্ধ বিমান (Biman Banerjee) বলেন, ”এইভাবে আপনি সভার কাজ বন্ধ করতে পারেন না।” শুভেন্দু অভিযোগ, করেন, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্রর ঘড়ি টুকরো হয়েছে, শংকর ঘোষের চশমাও ভেঙে গিয়েছে। উত্তরে অধ্যক্ষ কটাক্ষ করে বলেন, ”এসব বাইরে গিয়ে প্রেসকে দেখান। এটা পাড়ার রক না। বাইরে গিয়ে বলুন।”
আরও খবর: নারীকে চূড়ান্ত অসম্মান! থানায় অভিযোগ সুকান্তর বিরুদ্ধে, সোমে প্রতিবাদ যৌনকর্মীদের

মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “বিধানসভাকে কুস্তির আখড়া বানিয়েছে বিরোধীরা। মাইক চেয়ার ভেঙেছে। বিধানসভা গণতন্ত্রের মন্দির। সেখানে এই অভব্য আচরণ কল্পনারও বাইরে। মাননীয় অধ্যক্ষকে অনুরোধ করছি আপনি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।“ অধ্যক্ষ অভিযোগ তোলেন, বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা মাইক, টেবিল ভেঙেছেন। এরপর স্পিকার বিধানসভার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ”বিজেপির তরফেও অভিযোগ যা যা এসেছে সেগুলো তদন্ত করে সিদ্ধান্ত জানাব।”

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–