বোলপুরের আইসিকে অশ্রাব্য গালিগালাজের অভিযোগ। অনুব্রত মণ্ডলের কুকথা-কাণ্ডে এবার বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপকে দিল্লিতে তলব করল জাতীয় মহিলা কমিশন। ১ জুলাই তাঁকে দিল্লিতে কমিশনের দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনি একান্ত যেতে না পারলে তদন্তকারী অফিসারকে হাজির থাকতে হবে। জাতীয় মহিলা কমিশনের অতি সক্রিয়তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, এই তৎপরতা কোথায় ছিল, যখন বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী জঙ্গলকন্যা বীরবাহা হাঁসদাকে বলেছিলেন, ও আমার জুতার নিচে থাকে!
গত ২৯ মে একটি অডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের আইসি লিটন হালদারের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই কড়া ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল। ক্ষমা চান অনুব্রত। সেই ঘটনায় বোলপুর এসডিপিও অফিসে হাজিরাও দেন অনুব্রত। ওই কাণ্ডে জেলা পুলিশের কাছে রিপোর্ট চায় জাতীয় মহিলা কমিশন। জানতে চাওয়া হয়, আইসি লিটন দাসের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও কেন অনুব্রতর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি? অনুব্রতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও, কেন হাজিরা না দিলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি! তদন্ত সম্পর্কে রিপোর্ট পাঠান জেলা পুলিশ সুপার। কিন্তু তাতে খুশি নয় মহিলা কমিশন। ফের চিঠি পাঠায় কমিশন। সূত্রের খবর, একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, অনুব্রত তদন্তে সাহায্য করছেন। আইসির ফোন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের দফতরে চিঠি পাঠিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে ১ জুলাই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনি যেতে না পারলে তদন্তকারী অফিসার অর্থাৎ বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগারওয়ালকে পাঠাতে হবে। কেউ না গেলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন। এই নিয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, মহিলা কমিশন তলব করতেই পারে, কিন্তু এই তৎপরতা কোথায় ছিল, যখন বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী জঙ্গলকন্যা বীরবাহা হাঁসদাকে বলেছিলেন, ও আমার জুতার নিচে থাকে! বিজেপি শাসিত উন্নাও-হাথরাসে কেন যায় না জাতীয় মহিলা কমিশন! প্রশ্ন তোলেন কুণাল। আরও পড়ুন: দূষণ রোখার পথে নিষ্ক্রিয় কেন্দ্র! বিধানসভায় সরব মন্ত্রী চন্দ্রিমা
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–