নতুন ভাড়ার নির্দেশিকায় অ্যাপ নির্ভর ক্যাব পরিষেবা ঘিরে ফের বিতর্ক। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ব্যস্ত সময়ে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি এবার থেকে বেস ভাড়ার দ্বিগুণ পর্যন্ত নিতে পারবে। এর আগে যা সীমিত ছিল দেড় গুণের মধ্যে। এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে ১ জুলাই থেকে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে সব রাজ্যকে তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার এই নির্দেশ মানতে নারাজ। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়েছেন, “সাধারণ মানুষের উপর কোনওরকম আর্থিক চাপ আমরা মেনে নেব না।”
অ্যাপ ক্যাব ভাড়ার এমন বৃদ্ধি সাধারণ যাত্রীদের জন্য এক নতুন সংকট তৈরি করবে বলে মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া, যাত্রী হয়রানি এবং ট্রিপ বাতিল করার অভিযোগ বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার ‘মোটর ভেহিকেল এগ্রিগেটর গাইডলাইনস ২০২৫’-এর মাধ্যমে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে আরও ছাড় দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্য প্রশাসন। এছাড়াও, নতুন নির্দেশিকায় চালকদের ট্রিপ বাতিল করলে ভাড়ার ১০ শতাংশ জরিমানা ধার্য করা হলেও, তা সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। একই নিয়ম যাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই নিয়মের বাস্তব প্রয়োগ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
এদিকে, রাজ্যের ২০২২ সালের নোটিফিকেশন অনুযায়ী অ্যাপ ক্যাব পরিষেবার উপর একাধিক বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে—যেমন বেস ফেয়ার ৫৬.২৫ টাকা, প্রতি কিলোমিটারে ১৮.৭৫ টাকা, সারচার্জ নিষিদ্ধ, নির্দিষ্ট নিয়মে ট্রিপ বাতিলের জরিমানা, গাড়ির ফিটনেস, ডেটা সার্ভার রাজ্যে থাকা, গাড়িতে জিপিএস ও ট্র্যাকিং সিস্টেম বাধ্যতামূলক ইত্যাদি। রাজ্য স্পষ্ট জানিয়েছে, যাত্রী স্বার্থেই তারা ‘যাত্রী সাথী’ পরিষেবাকে উৎসাহ দিচ্ছে। অ্যাপ ক্যাব পরিষেবাকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে, নাহলে সাধারণ মানুষের ওপর ভাড়া-বাড়তির বোঝা আরও বাড়বে। একইসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ দফতর অ্যাপ বাইক পরিষেবাকেও বিধিনিষেধের আওতায় আনতে চাইছে, কারণ শহর ও শহরতলিতে প্রায় ১০ হাজার অ্যাপ বাইক চলে, যেগুলির উপর এখনো পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ নেই।
আরও পড়ুন – বাংলাভাষী শ্রমিকদের হয়রানি! উদ্বেগ প্রকাশ করে ওড়িশার মুখ্যসচিবকে চিঠি মনোজ পন্থের
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_