Friday, December 26, 2025

বাঙালির মাছ বাজার বন্ধের ‘হুলিয়া’! রাজধানীতে বিজেপির দাবি উড়িয়ে প্রমাণ করে দিল তৃণমূল

Date:

Share post:

ডবল ইঞ্জিন বিজেপি রাজ্যগুলির পরে খোদ রাজধানী দিল্লিতেও বাঙালি খেঁদাও অভিযান চালিয়েছে বিজেপির গুণ্ডা বাহিনী। অত্যাচারিত বাঙালি পরিবার কোনওমতে পালিয়ে এসে বিজেপির বাহিনী ও পুলিশের অত্যাচারের বর্ণনা করতেই বিজেপি মিডিয়া বাহিনীকে লাগিয়েছিল এটা বোঝাতে যে মাছ বাজারে (fish market) কোনও সমস্যা নেই। বাস্তবে নয়ডার (Noida) মাছ বাজারে কীভাবে মাছের বিক্রিতে লাগাম লাগিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার, এবার সেই ছবি তুলে ধরল বাংলার শাসকদল। মাছ বিক্রি তো দূরের কথা, সেখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক (migrant labour) পরিবারগুলির বসবাস অসম্ভব করে তুলেছে বিজেপির পরিকল্পিত ঘৃণার রাজনীতি। তবে কোনওভাবেই যে বাংলার বাইরে বাংলাভাষী মানুষদের হাত ছাড়ছে না শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, তা নয়ডার পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে বুঝিয়ে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

দিল্লির ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজধানীর অন্যতম বাঙালির মাছের বাজার চিত্তরঞ্জন পার্কের বাজারে মাছ বিক্রি নিয়ে ফতোয়া জারি করেছিল গেরুয়া বাহিনী। এবার কোপ পড়ল রাজধানী লাগোয়া নয়ডার শাহদরা (Shahdara) বাজারে। স্থানীয় বাঙালি মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, গ্রেটার নয়ডার শাহদরা গ্রামের বাজারে মাছের বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের উপর ফতোয়া জারি করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের বসতি এলাকায় শ্রমিকদের খোঁজ নেওয়ার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam) নয়ডার পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে গেলে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার পরিযায়ী শ্রমিকরা জানান চরম দুর্ভোগের কথা। তাঁরা অভিযোগ করেন, বাংলা (Bengali language) কথা বলার জন্য হিন্দিু-মুসলিম নির্বিশেষে তাঁদের একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। ২০-২৫ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তাদের বাংলাদেশি (Bangladeshi) বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মাছের ব্যবসা।

আরও পড়ুন: রাখী বন্ধন উৎসবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আহ্বান, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা অভিষেকের

সাংসদ এলাকায় পৌঁছতেই স্থানীয়রা অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরেন। এক মহিলা চোখের জলের সঙ্গে বর্ণনা করেন কীভাবে শুধুমাত্র বাংলা বলার জন্য মানুষের থেকে অধম, কুকুরের মতো আচরণ করা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে। ছাড় পাচ্ছেন না তপশিলি জাতির (scheduled caste) মানুষরাও। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ সামিরুলের (Samirul Islam) প্রশ্ন, ছোটবেলা থেকে যে আপ রুচি খানা কথাটি শিখে এসেছি, তাকেই ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। শুধুমাত্র বাংলা (Bengali) বলার জন্য বাঙালি তাঁর নিত্য প্রয়োজনীয় ভাত-মাছ থেকেও এখানে বঞ্চিত। প্রশ্ন তোলেন, রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভাষা বলার জন্য কেন এত রাগ বিজেপির নেতাদের?

spot_img

Related articles

জনসমুদ্র পার্ক স্ট্রিটে: বড়দিনের আলোয় শহর মাতোয়ারা, রাত বাড়তেই ভিড়ের ঢল

কনকনে ঠান্ডাকে সঙ্গী করে বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। জেলা থেকে শহর—সর্বত্রই উৎসবের আমেজ, তবে প্রতি বছরের...

স্পষ্টতা চেয়ে ফেডারেশনকে চিঠি ক্লাব জোটের, সূচি নিয়ে ক্ষোভ ইস্টবেঙ্গলের

সাফ ক্লাব কাপ জয়ী মহিলা দলের ফুটবলার, কোচ অ্যান্টনি আ্যন্ড্রিউজ এবং সাপোর্টিং স্টাফদের  সংবর্ধিত করল   ইস্টবেঙ্গল ক্লাব(East Bengal)...

বেঙ্গল সুপার লিগ: উত্তর ২৪ পরগনাকে হারিয়ে জয়ে ফিরল ব্যারেটোর দল

জমজমাট  শ্রাচি আয়োজিত বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। বড়দিনের দুপুরেও ছিল লিগের ম্যাচ। কল্যাণী স্টেডিয়ামে হাওড়া হুগলি ওয়ারিওর্সের(Howrah-Hooghly...

কেন্দ্রের প্রকল্পকে তোয়াক্কা নয়: বাংলা জুড়ে সবুজ বিল্পব

বাংলায় বিজেপির নেতারা যখন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাংলায় লাগু না করার জন্য প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন, তখন পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে...