ফের এক বিজেপি বিধায়কের অশ্লীল ভিডিও ফাঁস। দুর্গাপুর (Durgapur) পশ্চিমের বিজেপি (BJP) বিধায়ক লক্ষ্ণণ ঘোড়ুইয়ের (Laksman Gharui) নগ্ন ভিডিও ঘিরে নিন্দা রাজনৈতিক মহলে। যদিও লক্ষ্ণণের অভিযোগ তাঁকে বদনাম করতে এআই দিয়ে এই ছবি করা হয়েছে। এই বিষয়ে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তবে, তৃণমূলের অভিযোগ, বারবার বিজেপি বিধায়করাই কেন এই ধরনের বিতর্কে জড়ান। আসলে এটাই বিজেপির সংস্কৃতি- কটাক্ষ করেন পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে খবরের শিরোনামে আসেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি (BJP) বিধায়ক। শাসকদলের মন্ত্রী- মলয় ঘটক ও প্রদীপ মজুমদারকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, বাড়িতে ইডি, সিবিআই পাঠানো হবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিজেপির হাতের পুতুল-সেটাই ফাঁস করে ফেলেন তিনি। এবার সেই লক্ষ্ণণ ঘড়ুইয়ের বিতর্কিত ভিডিও ঘিরে। তাঁর নগ্ন ভিডিও ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে। (ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’)। যদিও এই ছবি তাঁর নন বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তিনি তিনবারের বিধায়ক। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর ভাবমৃর্তি নষ্ট করতেই এই ষড়যন্ত্র। এআই দিয়ে এই সব করা হয়েছে। এই বিষয়ে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
তবে, লক্ষ্ণণ ঘড়ুইয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি। তাঁর কথায়, কেন বিজেপি নেতাদেরই এই ধরনের ছবি ভাইরাল হয়! এটা প্রথম নয়, এর আগে শমীক ভট্টাচার্যর অডিও বা দিলীপ ঘোষদের বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কথায়, আসলে এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। বিজেপি এই সংস্কৃতিতেই অভ্যস্থ। এরা বাংলার মানুষের পরিপন্থী। সেই কারণেই আজ বাংলাভাষীদের বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।
আরও খবর: নবান্ন অভিযানের নামে বিজেপির বিশৃঙ্খলা! তৎপর পুলিশ-প্রশাসন
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–