সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আবার নিজেদের নিরাপদ আশ্রয়ে সেঁধিয়ে গিয়েছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। তাই নৃশংস হত্যালীলার পরে পরিস্থিতি সামলাতে ধরপাকড় আর এনকাউন্টারের খেলা খেলেছিল কেন্দ্রের প্রতিরক্ষা দফতর। আদতে ভারতীয় গোয়েন্দা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কতটা ব্যর্থ তা প্রমাণ করে দিয়েছিল পহেলগামের হামলা (Pahalgam attack)। সেই তথ্যই আরও স্পষ্ট হল কাশ্মীর জুড়ে ২১৫টি জামাতের স্কুলকে সরকারি অধিগ্রহণের (take over) সিদ্ধান্তে। কাশ্মীরকে আজও রাজ্যের স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। অথচ তাদেরই ছত্রছায়ায় যে সন্ত্রাসবাদের বীজ বোনা হচ্ছিল তারই মুখোশ খুলল মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah) প্রশাসন।

২০২২ সাল থেকে জামাত-এ-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) শাখা সংগঠন ফালাহ-এ-আম ট্রাস্ট (FAT) পরিচালিত স্কুলগুলিতে নতুন করে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৯ সালে জামাত-এ-ইসলামি নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পরও ২০২২ সাল পর্যন্ত কেন এই স্কুলগুলি পরিচালনা করার অনুমতি ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। ২০২২ সালে এই স্কুলগুলিতে নতুন করে ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পথে যায়নি কেন্দ্রের সরকার। এবার ওমর আবদুল্লা প্রশাসনকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হল।

শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়, জম্মু শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতে চলতে থাকা ফ্যাট (FAT) পরিচালিত ২১৫টি স্কুলকে সরকারি অধিগ্রহণ (take over) করা হবে। স্থানীয় জেলা প্রশাসন এই স্কুলগুলি চালাবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি লাগু হবে এই স্কুলগুলিতে। ইতিমধ্যেই এই স্কুলগুলির পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে এখন থেকে এই স্কুলগুলি সরকারের অধীনেই থাকবে।

আরও পড়ুন: কাদের নিয়ে দুর্নীতি থামাবেন: বিজেপির চার মহারথীর তথ্য তুলে তুলোধনা তৃণমূলের

এই নির্দেশিকার পরেই শনিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে স্কুলগুলিকে অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এই স্কুলগুলিতে যে পড়ুয়ারা এখনও পড়ছিল তারা স্থানীয় সরকারি স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে।

–

–

–

–

–
