সন্দেহ হলেই যে কোনও নাগরিকের নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইবে অসম (Assam) সরকার। প্রমাণ করতে পারলে তবেই বাস করতে পারবে অসমে। এবার আর আদালতে নয়, অসম পুলিশি (Assam Police) বিচার করবে নাগরিকত্বের (citizenship) প্রমাণ যথেষ্ট কিনা। উপযুক্ত নয় মনে হলেই সেই নাগরিককে বের করে দেওয়া হবে অসম থেকে। দেশের নাগরিকদের বিদেশি প্রমাণে নতুন নীতি গ্রহণ করল হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) অসম।

এতদিন বাংলার নাগরিকদের হেনস্থায় বারবার নাগরিকত্ব ট্রাইব্যুনালের সামনে ঠেলার পন্থা নিয়েছিল অসমের বিজেপি সরকার। এবার তার থেকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল অসম বিজেপি। মন্ত্রিসভায় পাস হল এমন এক প্রস্তাব, যেখানে নাগরিকত্বের নথি যাচাই করবেন ডেপুটি কমিশনার (DC) পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক।

মঙ্গলবার অসমের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অসমে (Assam) কোনও ব্যক্তিকে অনুপ্রবেশকারী (immigrant) বলে মনে হলে তাকে নাগরিকত্বের প্রমাণ পেশ করতে হবে। ১০ দিন সময় দেওয়া হবে নথি পেশ করার জন্য। ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক সেই নথি যাচাই করবেন, অসমের ১৯৫০ সালের ইমিগ্রান্টস আইন অনুযায়ী।

যদি পুলিশ সেই নথিকে উপযুক্ত মনে না করে তবে সেই নাগরিককে অনুপ্রবেশকারী (illegal immigrant) বলে চিহ্নিত করা হবে। এরপর নির্দিষ্ট পথে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে অসম থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। সমস্ত সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত ব্যক্তির নথি ও বায়োমেট্রিক পাবেন। এবং তাঁরা নজর রাখবেন সেই ব্যক্তি অসম থেকে বেরিয়েছেন কি না।

আরও পড়ুন: শুধু কমিউনিস্টরাই সৎ: দুর্নীতি নিয়ে বড়াই করা বামেরাই ‘কাঠগড়ায়’ নেপালে

অসম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, তাঁরা এখনো পর্যন্ত ৩০ হাজার বেআইনি অনুপ্রবেশকারীকে রাজ্য থেকে বের করতে সক্ষম হয়েছেন। নতুন নিয়ম সুপ্রিম কোর্টেও স্বীকৃত। ফলে যে এসওপি (SOP) মন্ত্রিসভা আদালতকে টপকে গ্রহণ করেছে, তাতেই এবার থেকে অসমে নাগরিকত্বের বিচার হবে।

–

–

–

–