রবিবার মহালয়া। তার আগে বৃষ্টি নিয়ে ভারী চিন্তায় বাঙালি। কিন্তু বাঙালির দুর্গাপুজো নিয়ে আবেগ যেন সব বাধাকে পার করে যেতে সক্ষম। ইতিমধ্যেই শহর থেকে গ্রাম, প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় শেষ মণ্ডপ বাধার কাজ। কুমোরটুলিতে শেষ মুহূর্তের টান দিচ্ছেন শিল্পীরা। তারই মধ্যে শনিবার থেকে শহরের পুজো উদ্বোধন শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে শনিবার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর উদ্বোধনে মধ্যে দিয়ে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকাল ৪টেয় সেই প্রথম এই পুজোর উদ্বোধনের সম্ভাবনা।

রবিবার মহালয়ার দিন প্রকাশিত হবে দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা। নজরুল মঞ্চে বিকাল ৩টেয় সেই পত্রিকার প্রকাশ করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই একের পর শহরের পুজোর উদ্বোধন হবে মহালয়ার দিন। তালিকায় রয়েছে – নাকতলা উদয়ন, ৯৫ পল্লী, যোধপুর পার্ক, বাবুবাগান, চেতলা অগ্রণী।

সোমবার থেকে পুজোর উদ্বোধনের সংখ্যা আরও বাড়বে। সোমবারের তালিকায় যে সব পুজোর উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সেগুলি হল – আলিপুর সার্বজনীন, চেতলা কোলাহল গোষ্ঠী, বেহালা নতুনদল, বড়িষা, হরিদেবপুর ৪১ পল্লী, অজেয় সংহতি, বোসপুকুর তালবাগান, বোসপুকুর শিতলা মন্দির, গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাব, কালিঘাট মিলন সংঘ।

আরও পড়ুন: উৎসবের শহরে রাস্তা কেমন: ঘুরে দেখলেন মেয়র ফিরহাদ, শুনলেন সমস্যা

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন – মুদিয়ালি, শিবমন্দির, সমাজসেবী, বালিগঞ্জ কালচারাল, ত্রিধারা, ৬৬ পল্লী, বাদামতলা, আদি বালিগঞ্জ, একডালিয়া, সিংঘিপার্ক। তবে সময় ও পরিস্থিতির পরিবর্তনে পুজোর সংখ্যা ও সময়ের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শহরের পুজোর পাশাপাশি ভার্চুয়ালি জেলার পুজোরও উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

–

–

–

–