মনিপুরে কত শান্তি – প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর ছিল বিজেপি। চূড়াচাঁদপুরে সভা করা, সেখানে গাড়িতে যাওয়ার মাধ্যেমে নরেন্দ্র মোদি দেখাতে চেয়েছিলেন মনিপুরের (Manipur) মানুষ বিজেপির বশ্যতা স্বীকার করেছে। আদতে তা যে মনিপুরে জ্বলন্ত পরিস্থিতিতে ধামাচাপা দিতে, প্রমাণ হয়ে গেল পাঁচদিনেই। অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের হামলায় প্রাণ গেল ২ জওয়ানের। বিষ্ণুপুরের কাছে অসম রাইফেলস-এর (Assam Rifles) কনভয়ে (convoy) হামলায় গুরুতর আহত অন্তত ৪ জন।

গত এক বছরে সেনাবাহিনীর উপর সেভাবে বড় হামলা চালায়নি মনিপুরের বিবাদমান দুই জাতি গোষ্ঠী। রাজ্যপাল হিসাবে অজয় ভল্লাকে (Ajay Bhalla) বসানোর পরে কুকি (Kuki) সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক ধরপাকড়ের অভিযোগ করা হলেও ভারতীয় সেনার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে কুকিরা। তবে প্রধানমন্ত্রীর সফরের ঘোষণা হতেই ফের পাহাড় ও সমতলে নতুন করে অশান্তির আঁচ পৌঁছেছে। বিক্ষোভ, বাড়ি-অফিস ভাঙচুর থেকে অবরোধ ফের ফিরে এসেছে মনিপুরে।

সম্প্রতি মনিপুরের এক গোষ্ঠী রবিবার মনিপুর বনধের ডাক দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে তৎপর ছিল সেনাবাহিনী। বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছিল টহল। শুক্রবার বিকালে ইম্ফল থেকে মনিপুরের বিষ্ণুপুর (Bishnupur) জেলার নম্বোল সবোল নেইকাই এলাকায় দিয়ে যাচ্ছিল ৩৩ অসম রাইফেলস-এর (Assam Rifles) একটি কনভয়। আচমকা সেই কনভয়ে (convoy) হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: বিজেপির অর্থ-নীতিতে বড় ধাক্কা! জাপানি সংস্থার হাতে গেল ইয়েস ব্যাঙ্ক

হামলার জেরে মৃত্যু হয় দুই জওয়ানের। বেশ কয়েকজন জওয়ানের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষও আহত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকার ব্যস্ত রাস্তায় হামলা চালানোয় স্থানীয় বাসিন্দারাও হামলার শিকার হন। কনভয়ের জওয়ানরা দ্রুত প্রত্যুত্তর দেওয়া শুরু করে। তবে হামলাকারীরা একটি সাদা গাড়িতে এলাকা ছেড়ে পালায়।

–

–

–

–

–