ইতিহাস ফিরে আসে, স্মৃতি কড়া নাড়ে—আর সেই স্মৃতি এবার ভয়ংকর রূপে ফিরে এল জুবিন গর্গের (Jubin Garg) জীবনে। শেষ হল তাঁর জীবনের অধ্যায়। প্রায় ২৩ বছর এক দুর্ঘটনাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন জুবিনের আদরের বোন জঙ্কি বোরঠাকুর (Janki Bore Thakur)। সামান্যের জন্য প্রাণে বেঁচে যান জুবিন। কারণ সেই একই গাড়িতে করে এক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন জুবিন, তাঁর বোন জঙ্কি ও জুবিনের এক বন্ধু। জুবিন প্রথমে একই গাড়িতে ছিলেন কিন্তু দুর্ঘটনার (Road Accident) কয়েক মিনিট আগে অন্য একটি গাড়িতে উঠেছিলেন। জুবিন বেঁচে গেলেও, শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন। সেই শোক ভুলতে পারেননি জুবিন কখনও। একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “জঙ্কিই আমার ছায়া, আমার সহগায়িকা।”
জঙ্কির মৃত্যু যেন ভিতর থেকে পালটে দিয়েছিল তাঁকে। এক আত্মবিশ্লেষণের যাত্রা শুরু করেছিলেন শিল্পী। মঞ্চে দাঁড়ানো সেই চনমনে, প্রাণবন্ত মানুষটা ভিতরে ভিতরে আরও গভীর হয়ে উঠেছিলেন। ওই শোকই তাঁকে আরও দৃঢ়ভাবে জুড়ে দিয়েছিল অসমিয়া সংগীতের শিকড়ের সঙ্গে। তখনই জুবিন নিজের সবচেয়ে মর্মস্পর্শী অ্যালবাম “শিশু” প্রকাশ করেন। সুরে মিশে ছিল হারানোর যন্ত্রণা, গলার স্বরে ধরা দিত অব্যক্ত ভালোবাসা।

আর ঠিক ২৩ বছর পর, যেন চক্র পূর্ণ হল। আরও পড়ুনঃ সিজার অ্যাটাকের পরে হাসপাতালে দুঘণ্টা! জুবিনের মৃত্যুতে সিআইডি তদন্ত
সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন জুবিন গর্গ। সমুদ্র থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় সিঙ্গাপুর পুলিশ, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মাত্র ৫২ বছর বয়সেই স্তব্ধ হয়ে গেল সেই কণ্ঠ, যে কণ্ঠে কখনও ছিল প্রেম, কখনও প্রতিবাদ।

–

–

–

–

–

–

–
