মহালয়ায় পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন শহরে পুজোর আবহ শুরু হয়েছে। রবিবার ৮০০-এর বেশি পুজো উদ্বোধনের পর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল ও মঞ্চে একযোগে হাজার পুজোর উদ্বোধন করেন। এদিন তিনি মূলত দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপগুলির উদ্বোধন করেন।

বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী খিদিরপুর ২৫ পল্লি থেকে শুরু করে একের পর এক খিদিরপুর ৭৪ পল্লি, আলিপুর সর্বজনীন, কোলাহল, বেহালা নতুন দল, বড়িশা ক্লাব, অজেয় সংহতি, ৪১ পল্লি, বোসপুকুর তালবাগান, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, আদি বালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ ২১ পল্লি, গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাব, কালীঘাট মিলন সংঘের পুজোর উদ্বোধন করেন। কলকাতায় ১৫টির বেশি মণ্ডপে তিনি উপস্থিত ছিলেন, পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমে অন্তত এক হাজার জেলার পুজোর উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেবাশিস কুমার, বাবুল সুপ্রিয়, রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বালিগঞ্জে ২১ পল্লিতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

পুজো উদ্বোধনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, “যারা বাংলাকে কলুষিত করতে চায়, তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হবে। বাংলার মানুষ ভাষার অস্মিতা রক্ষা করবে। বাংলার দুয়ার সব ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার মানুষের জন্য খোলা। বিজেপির রাজনীতি কেবল বিভাজন আর মিথ্যাচারের ওপর দাঁড়িয়ে। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ঐক্য ও মানুষের শক্তি বারবার তার জবাব দিয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এই মাটির প্রাণশক্তির সামনে বিজেপির মিথ্যাচার টিকবে না। ভারত বিশ্বজনীন। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই আমাদের মন্ত্র। এখানে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, সকলেই মা দুর্গার নামে একত্রিত হন। এটাই আমাদের বড় শক্তি। আমি সকল ভাষাকে ভালোবাসি এবং সম্মান করি, কিন্তু আমাদের মাতৃভাষা আমাদের নিজস্ব। কেউ তা অসম্মান করতে পারে না। যখন আমরা ‘জয় হিন্দ’ বা ‘বন্দে মাতরম’ বলি, তখন আমরা ‘জয় বাংলা’ও বলি।”

আরও পড়ুন – দেশের সবচেয়ে বড় হিন্দু-বিরোধী নরেন্দ্র মোদি! শুভেন্দুকে ধুয়ে দিলেন অভিষেক

_

_

_

_

_
_