রাজ্যে সাধারণ মানুষের উপার্যনের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ করে ভাতে মারার পরিকল্পনা বিজেপির সরকারের। এরপরে বাংলার শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে কাজে গেলে সেখানে অত্যাচার করে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া থেতে পুশব্যাক (push back) পর্যন্ত করতে দ্বিধা করছেন না নির্লজ্জ বিজেপি সরকারগুলি। আবার সেই সরকারগুলিকে বাংলায় বসে যোগ্য সংগত দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। একবারও রাজ্যের বকেয়া আদায়ে বা রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant labour) বিজেপির রাজ্যে অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব হতে শোনা যায়নি বিরোধী দলনেতা বা অন্য বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। এবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মানুষ সেই ক্ষোভ উগরে দিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) উপর। বিক্ষোভের মুখে কোনও উত্তর দিতে না পেরে শেষে হামলার তত্ত্ব খাঁড়া করলেন শুভেন্দু।

কালীপুজোর উদ্বোধনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার (South 24 Parganas) রায়দীঘিতে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু রবিবার। আর সেই রাস্তাতেই দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। মথুরাপুরে (Mathurapur) মহিলারা তাঁর কনভয়ের পাশে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তার জেরে শুভেন্দুর দেহরক্ষীরা (security) ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় মহিলাদের। আর তাতেই পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে যায়। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা।

মথুরাপুরের পাশাপাশি মন্দিরবাজারেও (Mandirbajar) বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিরোধী দলনেতাকে। স্থানীয় মানুষ তাঁর কনভয়ের (convoy) পাশে জড়ো হয়ে বাংলার অধিকার রক্ষার দাবি জানায়। শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikary) ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে স্লোগান দিতে থাকে তারা। জবাব চাওয়া হয় বাংলার শ্রমিকদের উপর ভিন রাজ্যে হামলা চালানো নিয়ে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার একটি বড় অংশের মানুষ বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। বিজেপির নীতির কারণে তাঁদের একটা বড় অংশের শ্রমিককে কর্মহীন হয়ে গ্রামে ফিরে আসতে হয়েছে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় রবিবার।

আরও পড়ুন: বিজেপির ওডিশায় ধর্ষণের তদন্তে উঠে এল নারীপাচার চক্রের হদিশ

সাধারণ মানুষের কোনও উত্তর দিতে না পেরে শেষে তাঁদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পন্থা নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পুজোর উদ্বোধনে যাওয়ার আটকানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। সেই অজুহাতেই একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের উপর দোষ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

–

–

–

–
