বিনা প্ররোচনায় হামলা অফগানিস্তানের সীমান্তে। দখলদারির চেষ্টা। শান্তি চুক্তি অমান্য করে ভিতুর মতো রাতের অন্ধকারে আফগানিস্তানের (Afghanistan) শহরে হামলা চালিয়ে ক্রিকেটারদের হত্যা করতেও পিছপা হয়নি পাকিস্তান। তবে প্রতিবারই পাক সেনার উপর হামলা চালিয়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে থেমে থাকেনি অফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত তুর্কি (Turkey) ও কাতারের (Qatar) মধ্যস্থতায় ফের একবার শান্তি প্রতিষ্ঠা হল পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ডুরান্ড লাইন (Durand Line) বরাবর। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে নৈতিক জয় হিসাবে দেখছে আফগানিস্তান।

আফগানিস্তানের রাস্তায় উড়েছে পাক সেনার খুলে নেওয়া অন্তর্বাস। সোশ্য়াল মিডিয়া ভাইরাল (ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) হয়েছে পাক সেনাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। আবার চোখ বাঁধা পাক সেনাদের আটকে রাখার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছে আফগানিস্তানই। এত কিছুর পরেও শিক্ষা হয়নি শাহবাজ শরিফের (Shahbaz Sharif) সরকারের। রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে হত্য়া করেছে উদীয়মান তিন আফগান ক্রিকেটারকে। এমনকি সেটাও দুদেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি (cease fire) লঙ্ঘন করেই।

ইতিমধ্যেই শাহবাজ শরিফকে নিজের বন্ধু দাবি করে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্পষ্ট করে দেন ভারতে যেভাবে হামলা চালানোর নেপথ্যে ছিল পাকিস্তান (Pakistan), সেভাবেই হামলা চালানো হয়েছে আফগানিস্তানে (Afghanistan)। এরপরই আরব দেশগুলি এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়। দোহায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্তি বৈঠকে ডাকা হয়। সেই বৈঠকে ডুরান্ড লাইন বরাবর শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয় দুই দেশই।

আরও পড়ুন: তিন ক্রিকেটারসহ ১০ মৃত্যুতে ফুঁসছে আফগানিস্তান, পাকিস্তানকে জবাব দিতে তৈরি তালিবানও

তুর্কি ও কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান যেভাবে মাথা নত করে, তাকে নৈতিক জয় বলে দাবি করে তালিবান প্রশাসন। দাবি করা হয়, একটি অতি অসম্মানজনক পরাজয়ের পরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় (cease fire) বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। তাই তাদের অসময়েই শান্তির পথে ফিরতে হল। এতে আফগানিস্তানের নীতিই সঠিক বলে প্রতিষ্ঠিত হল। আফগানিস্তান বরাবর আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানেই বিশ্বাসী।

–

–

–

–

–