আলোর উৎসবের মধ্যেই বিষাদের ছায়া। রবিবার সন্ধেয় আলিপুরে বাড়ির আলমারি থেকে উদ্ধার হয় ক্লাস ফাইভের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। তবে, তদন্ত নেমে নয়া তথ্য পুলিশের (Police) হাতে। মৃত নাবালিকা আর জি কর-কাণ্ডে (R G Kar Case) দোষী সঞ্জয় রাইয়ের (Sanjay Rai) ভাগ্নি। মায়ের মৃত্যুর পরে ওই নাবালিকার মাসিকে বিয়ে করেছিলেন তাঁর বাবা। তবে, সৎমা নানা আজুহাতে মেয়ের উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ নাবালিকার ঠাকুমা-সহ প্রতিবেশীদের।

শহরের এক নামী বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী (School Student) ছিল ১১ বছরের ওই নাবালিকা। রবিবার সন্ধেয় তার বাবা অফিসে ছিলেন, মা দিওয়ালির বাজার করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে বারবার ডাকলেও মেয়ে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ঘরের সব জায়গায় খুঁজে না পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় আলমারি খোলেন। তখনই আলমারির মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় নাবালিকার দেহে মেলে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
আরও খবর: শব্দদানব থাবা বসালো মধ্যরাতেও, মহানগরীর দূষণ বাড়ল ১০গুণ, গ্রেফতার ৪৫

এরপরই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। জানা যায়, আর জি কর-কাণ্ডে (R G Kar Case) সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয়ের দিদির সঙ্গ বিয়ে হয়েছিল নাবালিকার বাবার। কয়েকবছর আগে তাঁর মৃত্যু পরে শ্যালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর। শ্যালিকাকে বিয়েও করেন। স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। মৃতার ঠাকুমার অভিযোগ, নাতনির সঙ্গে তাঁদের করতে দিতেন না পুত্রের দ্বিতীয় স্ত্রী। নানা অজুহাতে নাবালিকাকে অত্যাচার করতেন তাঁর সৎমা অভিযোগ ঠাকুমা-সহ প্রতিবেশীদের।

তবে, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী কীভাবে আত্মহত্যার করল- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খুনের সম্ভাবনাও খতিয়েদেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (Post Mortem Report) হাতে পেলেই খুন না আত্মহত্যা তা স্পষ্ট হবে।

–

–

–

–

–

–