বিহার নির্বাচনে আসন রফা করতে গিয়ে বেজায় বিপাকে লালু প্রসাদ যাদবের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD)। দারভাঙ্গা জেলার গৌরা বাউরাম কেন্দ্রের নিজের দলের প্রতীকে লড়া প্রার্থীর বিরুদ্ধেই প্রচারে নামছেন লালু-পুত্র আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। কিন্তু কেন এই অদ্ভূত পরিস্থিতি?

প্রথমে গৌরা বাউরাম থেকে তাদের নেতা আফজল আলি খানকে (Afzal Ali Khan) প্রার্থী করে RJD। আফজালকে দলীয় প্রতীক হ্যারিকেনও দিয়েছিল। কিন্তু পরে বিজেপি (BJP)-জোটের বিরুদ্ধে বিধানসভা ভোটে লড়তে ‘মহাগঠবন্ধন’ গড়ে আরজেডি। সেখানে আরজেডি নেতৃত্ব মুকেশ সাহনির ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’র সঙ্গে জোটের রফা করে। আসন ভাগাভাগির চুক্তি অনুযায়ী, গৌরা বাউরাম আসনটি যায় ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’-র কাছে। ঠিক হয়, ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’র নেতা সন্তোষ সাহনি। তাঁকে সমর্থন করবে আরজেডি।

এই পরিস্থিতে দলের তরফে আফজলের কাছে দলীয় হ্যারিকেন প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার ও লড়াই থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন আরজেডি নেতৃত্ব। কিন্তু ততদিনে পাটনা থেকে গৌরা বাউরাম গিয়ে ভোটের লড়ার সব তোড়জোড় শুরু করে দেন আফজল। এই প্রস্তাবে তিনি বেঁকে বসেন। মনোনয়নও জমা দেন।

আরজেডি তখন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। জানায়, ওই কেন্দ্র থেকে আফজলকে সমর্থন করে তারা। কিন্তু নিয়ম মেনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ায় কমিশন জানায়, তারা আফজাল আলি খানকে সরাতে পারবে না। সুতরাং ইভিএম-এ গৌর বাউরাম আসনে আরজেডি-র হ্যারিকেন প্রতীকের থাকবে আফজল আলি খানের নাম। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচার চালাতে হবে তেজস্বীদের। কারণ তাঁদের সমর্থিত প্রার্থী ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’ সন্তোষ সাহনি।

২০২০-র বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গৌরা বাউরাম আসনটিতে জেতে ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’। সেবার প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি বিজেপিতে চলে যান। ২০১০ ও ২০১৫ সালের নির্বাচনে আসনটিতে জিতেছিল জেডিইউ। এবার মহাগঠবন্ধনে আসন ভাগভাগিতে প্রবল চাপ হয়। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’-এর চুক্তিতে আসন বণ্টন হয়। এই পরিস্থিতিতে গৌর বাউরাম আসনটিতে কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে সেটাই দেখার।

–

–

–

–

–