রাজ্যে হোক বা রাজ্যের বাইরে। বাংলার মানুষের পাশে প্রতিনিয়ত রয়েছে বাংলার প্রশাসন ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কেরলেয় নিহত পরিযায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। অথচ যে নন্দীগ্রামের (Nandigram) পরিযায়ী শ্রমিকটি (migrant labour) প্রাণ হারালেন তাঁর জন্য একবারও এসে দাঁড়াতে দেখা গেল না সব বিষয়ে রাজনীতির যোগ খুঁজে বের করা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary)। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে সেই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস।

শুক্রবার মৃত শ্রমিক ভীমচরণ বারিকের দেহ এসে পৌঁছয় দমদম বিমানবন্দরে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ (Debangshu Bhattacharyya) অন্যান্য নেতৃত্ব দায়িত্ব সহকারে দেহ নিয়ে নন্দীগ্রামে শ্রমিকের বাড়িতে পৌঁছে দেন—যাতে তাঁর শেষযাত্রার অসম্মান না হয়, মর্যাদার সঙ্গে সম্পন্ন হয়।

দীর্ঘদিন ধরে কেরলে (Kerala) নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন নন্দীগ্রাম-২-এর বাসিন্দা ভীমচরণ বারিক। গোটা পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর উপরেই। গত রবিবার নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে আচমকা পড়ে যান ভীমচরণ। তিনদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর বুধবার প্রাণ হারান তিনি। স্থানীয় তৃণমূল প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: সময়সীমা পার: বিজেপির সরকার বাংলাদেশ থেকে ফেরালো না বাঙালিদের, সরব তৃণমূল

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ অন্যরা মৃত শ্রমিকের দেহ নিয়ে নন্দীগ্রামের বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় পরিবারে পাশে সবরকম ভাবে থাকার। অথচ সেই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হয়েও এলাকারই ওই শ্রমিকের পরিবারকে কঠিন সময়ে ত্যাগ করলেন শুভেন্দু। কোনও সাহায্য-সমবেদনা দূরের কথা, ন্যূনতম শোকপ্রকাশও করেননি তিনি, জানাচ্ছে পরিবার।

–

–

–

–
–

