এক দশকের অল্প সময়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনামলে রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা-মাটি-মানুষের সরকারের নানামুখী উদ্যোগে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এবং শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিসংখ্যান দেখালেই বোঝা যায়, ২০১১ সালে রাজ্যে স্কুলের সংখ্যা ছিল ৬১,৩২৬টি, যা ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৪,৭৪৪টি হয়েছে। কলেজের সংখ্যা ৩৬৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ১,৫১৪টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৬ থেকে বেড়ে ৫৮টি। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা বেড়ে ৭৫,২৯৯, উচ্চ প্রাথমিক ৮,৭৩৫ এবং উচ্চ মাধ্যমিক ৭,৪১৯। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৭৪টি।

শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সহজলভ্যতা এবং উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাড়ির কাছেই স্কুল হওয়ায় স্কুলছুট কমেছে, বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে।এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে স্কুলব্যাগ বিতরণ, প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, দৃষ্টিশক্তিহীনদের জন্য ব্রেল হরফে বই, বিনামূল্যে স্কুলের জুতো ও পোশাক, মিড-ডে মিলের বিস্তৃত বিতরণ—all these initiatives শিক্ষার মান ও উপস্থিতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বিশেষ উল্লেখযোগ্য ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প, যা মেয়েদের স্কুলছুট কমাতে এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়েছে। এসব প্রকল্পের ফলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পড়াশোনা শেষ করার পর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও বেড়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগ ও সুসংগঠিত পরিকল্পনার ফলে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা এক দশকের মধ্যে একটি দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করেছে।

আরও পড়ুন- চক্রান্ত ব্যর্থ হবে বিরোধীদের, দক্ষিণ দিনাজপুরে ছয়টি আসনেই জিতবে তৃণমূল! বার্তা চন্দ্রিমার

_

_

_

_
_
_


