Friday, November 14, 2025

মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে পুলিশ-সাংসদদের ‘রাজ’! আত্মহত্যার আগে চার পাতা লিখলেন চিকিৎসক

Date:

Share post:

সরকারি হাসপাতাল মানে প্রশাসনিক ও পুলিশের সব কাজেই দরকার পড়ে সেই হাসপাতালের। আর সেই সুযোগে মহারাষ্ট্রের হাসপাতালগুলিতে পুলিশের ও নেতাদের কী ধরনের স্বৈরাচার চলে চিকিৎসকদের উপর, তার ছবি তুলে দিয়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ধর্ষিতা চিকিৎসক (rape victim)। সুইসাইড নোটে (suicide note) তিনি হাসপাতালে প্রশাসনিক অরাজকতা ও চাপের রাজত্ব কায়েম করেছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন। যে বিজেপি বাংলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা নিয়ে আরজিকরের ঘটনার পরে সরব হয়েছিল, তাদের নিজেদের রাজ্য মহারাষ্ট্রে কীভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি (health centre) রাজনৈতিক ফায়দা ও অনৈতিক কাজের আখড়া বানিয়েছে, সেই ছবি এক চিকিৎসককে জীবন দিয়ে জানাতে হল।

মহারাষ্ট্রের সাতারার চিকিৎসক তরুণী ২৩ মাস ফলটনের সাব ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার (MO) পদে ছিলেন। আর সেই সময়ের মধ্যে চারবার এক পুলিশ আধিকারিকের দ্বারা ধর্ষিতা (raped) হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সেই কথা তিনি তাঁর হাতে লিখে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাকি যা কিছু তিনি হাতে লিখতে পারেননি, তা তিনি জানিয়ে গিয়েছেন চার পাতার সুইসাইড নোটে।

মৃত চিকিৎসকের সুইসাইড নোটে দাবি, তাঁকে পুলিশ থেকে বারবার ধৃত ব্যক্তিদের মেডিক্যাল করার সময় ভুল রিপোর্ট (false report) লিখতে বাধ্য করা হত। এমনকি বহু ক্ষেত্রে ধৃতকে না দেখেই ‘সুস্থ’ বলে রিপোর্ট লিখে দিতে হত। ময়নাতদন্তের (post mortem) রিপোর্টের ক্ষেত্রেও একই চাপ ছিল। অনেকক্ষেত্রে সাংসদরা (MP) ফোনে একই চাপ দিতেন। হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হত।

মৃতা নিজের চারপাতার নোটে যে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে সহমত হয়েছেন তাঁর এক আত্মীয়ও। তিনিও দাবি করেন, হাসপাতালে চিকিৎসককে প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হবে। সবটাই অনৈতিক কাজের জন্য। এমনকি এই সংক্রান্ত অভিযোগ তিনি জেলা পুলিশ সুপার (SP), ডেপুটি সুপার পর্যন্তও জানিয়েছিলেন। কেউ তাঁকে প্রতিকারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আবার কেউ পরে যোগাযোগ করার আশ্বাস দিয়েও আর কখনও যোগাযোগ করেননি।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে হাতে চিরকুট লিখে ‘আত্মঘাতী’ মহিলা চিকিৎসক: পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, নীরব বঙ্গ বিজেপি!

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার পুলিশ আধিকারিকের (Maharashtra Police) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করার পর স্বাভাবিকভাবে মহারাষ্ট্রের সাধারণ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যেখানে একজন মেডিক্যাল অফিসারের নিরাপত্তা নেই, রক্ষকদের হাতে তিনিই ধর্ষিতা, সেখানে অন্যান্য চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু চারপাতার সুইসাইড নোটটি সামনে আসার পরে গোটা ছবিটা যেন আরও একধাপ বিজেপির অরাজকতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

spot_img

Related articles

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...

সোনারপুরে শুরু হচ্ছে প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে নিউমোনিয়া ও ফ্লু টিকাকরণ কর্মসূচি

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই রোগ অনেক সময় প্রাণঘাতী...

প্রকাশিত হল আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

প্রকাশিত হল আগামী বছরের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি। কাউন্সিলের তরফে এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি...