বিজেপির (BJP) ডাবল ইঞ্জিনে (Double Engine) নারী নিরাপত্তা নেই। নেই হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা। তাই তো রক্ষক পুলিশের হাতেই ধর্ষিত হতে হয় মহিলা চিকিৎসককে। শুধুই কি ধর্ষণ, এই ধর্ষণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে বিরাট কেলেঙ্কারি। নির্যাতিতা ওই মেডিকেল অফিসারকে ভুয়ো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও জাল সার্টিফিকেট দিতে চাপ দেওয়া হত। বাংলায় বা অবিজেপি রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটলে তো সাড়া ফেলে দিতেন, এখন কেন বিজেপির তাবড় নেতারা সব নীরব? কোথায় গেলেন অভয়া আন্দোলনের রাতদখলকারীরা? বিজেপির মহারাষ্ট্রের ঘৃণ্য-চরম নিন্দনীয় ঘটনা নিয়ে এবার সুর চড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা (Shahi Panja)।

মহারাষ্ট্রে পাঁচ মাস ধরে মহিলা চিকিৎসক (Doctor) দুই পুলিশ আধিকারিকের (Police Officer) দ্বারা লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বেছে নেন আত্মহননের পথ। হাতের তালুতে নোট লিখে তিনি আত্মঘাতী হন। তারপরই বিজেপি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে নীরব বাংলার বাম-বিজেপি। শশী পাঁজা বলেন, বাংলায় কিছু ঘটলেই যেখানে বিজেপির নেতারা অতিসক্রিয় হয়ে উঠেন, এখন তাঁরা কোথায়? এবার তাঁরা আন্দোলনে নামবেন না, প্রতিবাদ করবেন না, রাত দখলের নামবেন না রাস্তায়? তাঁর আরও প্রশ্ন, কই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তো এখনও কোনও উত্তর দিলেন না? সংবাদমাধ্যম, জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে বিজেপি মহিলা মোর্চা— এখন তারাই বা নীরব কেন? তৃণমূল কংগ্রেস এর জবাব চায়।

শশী পাঁজা (Shahi Panja) আরও বলেন, একজন মহিলা চিকিৎসক দিনের পর দিন রক্ষক পুলিশের লালসার শিকার হয়েছেন। ন্যায়বিচার চাইতে মানুষ যে পুলিশের কাছে দৌড়ায়, তারাই ভক্ষক। নিরুপায় হয়ে সেই ভারত কি বেটি মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মৃত্যুর পর যাতে সুবিচার পান, সেজন্য হাতের তালুতে লিখে যান, কারা তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী। বাংলায় হলে এতক্ষণ জাতীয় মহিলা কমিশন ছুটে আসত। এখন তাদের দেখা নেই। রাজ্যের মহিলা কমিশনকেও দেখা যায়নি। ন্যাশনাল চ্যানেলগুলোরও মুখে কুলুপ পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কই প্রশ্ন তুলছেন না তো, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন কি না? আর বাংলায় হলে? নারী নিরাপত্তা নিয়ে যাঁরা নিজেদের চ্যাম্পিয়ন্স বলেন, সেই মহিলা মোর্চা কোথায় বিজেপির? আপনাদের মধ্যে যে মহিলাদের প্রতি সম্মান, সমবেদনা আদৌ নেই সেটাও ভারতবর্ষ আজ দেখল। দেখল এক অপরাধের আড়ালে কত অসাধু চক্র সক্রিয় রয়েছে। তেমনই এক জাল সার্টিফিকেট চক্রের পাকেই এক নিরীহ চিকিৎসককে জীবন বলি দিতে হল।

–

–

–

–

–

–
–
–


