ওড়িশায় সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মতো সামাজিক অপরাধ। এই পরিস্থিতিতে এবার সরব রাজ্যের বিরোধী দল বিজেডি (BJD)। প্রতিদিন গড়ে ১৫টি ধর্ষণের ঘটনায় কেন মুখ খুলছেন না রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu), তা নিয়ে সরব নবীন পট্টনায়েকের (Naveen Patnaik) দলের সাংসদ সুলতা দেও (Sulata Deo)।

শনিবারও ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ (Mayurbhanj) জেলায় একসঙ্গে দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে ওড়িশা পুলিশ (Odisha Police)। তবে ওড়িশায় প্রতিদিন যেভাবে ধর্ষণ (rape) ও গণধর্ষণের (gang rape) ঘটনা ঘটছে তাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে নারী নির্বাযতনের সব ধরনের ঘটনা, দাবি বিজেডির। সাম্প্রতিক ১৬ মাসের ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ করে বিরোধী বিজেডির (BJD) তরফে দাবি করা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ৫ হাজার মহিলা ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

প্রতিবেশী রাজ্য বাংলায় একটিও নারী নির্যাতনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলার প্রশাসন। গ্রেফতারি থেকে শাস্তি পর্যন্ত পথ তৈরি করে দিয়েছে বাংলার পুলিশ। ধর্ষণের মতো অপরাধে যাতে অপরাধী সর্বোচ্চ সাজা পায়, তার জন্য অপরাজিতা আইন (Aparajita Bill) আনার জন্য বিল পাশ হয়েছে রাজ্যের বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। কিন্তু রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অভাবে সেই বিল আইনে পরিণত করা যায়নি। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বারবার তা নিয়ে সরব হয়েছে। আর জি করের ঘটনায় (R G Kar incident) কলকাতা পুলিশ যে অপরাধীকে গ্রেফতার করে তদন্ত করেছে, সেই অপরাধীকেই মূল অপরাধী প্রমাণ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তা সত্ত্বেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। সেখানেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেডি সাংসদ।

আরও পড়ুন: ফের শিরোনামে বিজেপি রাজ্য ওড়িশা! এবার নিজের বাড়িতেই গণধর্ষিতা নাবালিকা

ওড়িশার নাগরিক রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কেন তিনি নিজের রাজ্যে এত নারী নির্যাতনে এখনও নীরব তা নিয়ে বিজেডি সাংসদ সুলতা দেও-এর (Sutala Deo) প্রশ্ন, ময়ূরভঞ্জের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার। প্রতিদিন ১৫ টি করে ধর্ষণ গণধর্ষণের (gang rape) ঘটনার অভিযোগ হচ্ছে ওড়িশায়। রাষ্ট্রপতি যদি আর জি করের ঘটনা নিয়ে সরব হতে পারেন তবে কেন নিজের রাজ্য ওড়িশা নিয়ে মুখ খুলছেন না? তাঁর কথা বলা উচিত। যখন কারো নিজের রাজ্যেই আইনশৃঙ্খলা নেই তখন বাংলার দিকে কেউ কেন উঁকি দেবেন? ডবল ইঞ্জিন আমাদের উন্নতি নয়, অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

–

–

–

–
–


