কাছেই থানা। তা সত্ত্বেও নির্মমভাবে খুন হলেন এক আদিবাসী যুবক। টের পেল না যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ? না কি বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক বলে তাঁর নৃশংস হত্যাতেও নাক গলালো না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (Uttarpradesh Police)? তার জন্যই কী বিশেষ কোনও নির্দেশ ছিল, যোগীরাজ্যে বীরভূমের (Birbhum) পরিযায়ী শ্রমিকের (migrant labour) নৃশংস খুনের ঘটনায় এবার প্রশ্ন তুলল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

উত্তরপ্রদেশের কানপুরে (Kanpur) এক বাঙালি আদিবাসী (adibasi) পরিযায়ী শ্রমিকের (migrant labour) দেহ উদ্ধার হল দিল্লি–কানপুর রেললাইনে। মাথা থেঁৎলে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে, অভিযোগ। গোবিন্দনগর থানা থেকে রেললাইনের এই অংশের দূরত্ব সামান্যই। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বাংলার শাসকদল প্রশ্ন তুলেছে, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন বিজেপির ভাড়াটে খুনিদের হাতে আমাদের বাংলার মানুষ নির্যাতিত হলেও তারা হস্তক্ষেপ না করে।

বিজেপির বাংলা বিরোধী নীতিতে বারবার ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে হিংসার মুখে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। কোথাও মারধর, কোথাও খুনের মতো ঘটনা শেষ কয়েক মাসে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এমনকি বাদ যায়নি প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাও। সেখানেও খুন করা হয়েছে বাংলার শ্রমিকদের, শুধুমাত্র তাঁরা বাঙালি বলে। এবার সেই হিংসায় নতুন নজির উত্তরপ্রদেশের কানপুর।

আরও পড়ুন: পুলিশ পিটিয়ে এক রাতেই জামিন! বিজেপির ত্রিপুরায় রক্ষকের নিরাপত্তায় প্রশ্ন

জানা গিয়েছে, বীরভূমের (Birbhum) কসবা থানা এলাকার বাসিন্দা গোপাল হেমব্রম ২২ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশে কাজের জন্য যান। ২২ তারিখ থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবার। এই পরিস্থিতিতে দেহ উদ্ধার হওয়ায় কার্যত দিশাহারা পরিবার। সেই পরিস্থিতিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। পরিবারের তরফ থেকে চার সদস্যকে পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। তবে বারবার যেভাবে বিজেপির হিংসার শিকার হচ্ছে বাংলার শ্রমিকরা, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ শাসকদল তৃণমূলের। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বিজেপি এখন এমন একটা মিশনে নেমেছে, যেখানে গোটা দেশটাকেই বাঙালিদের জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তোলা যায়। যাঁরা এই দেশের জন্য রক্ত ঝরিয়েছেন, আজ তাঁরাই বিতাড়িত হচ্ছেন, খুন হচ্ছেন। আর যদি এই ঘটনা আত্মসম্মানবোধ রয়েছে, এমন বাঙালিদের বিবেকে না নাড়া দেয়, তবে আর কী করা যাবে!

–

–

–

–
–


