শেষ দিনে বাজিমাত। ইডেনে রঞ্জি ট্রফির(Ranji trophy) ম্যাচে বাংলার কাছে কুপোকাত গুজরাট। মহম্মদ শামি- শাহবাজ আহমেদের দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করে গুজরাটের বিরুদ্ধে ১৪১ রানে সরাসরি জয় পেল বাংলা। পর পর দুই ম্যাচ থেকে পুর ১২ পয়েন্ট তুলে নিল বঙ্গ ব্রিগেড।

বাংলা বনাম গুজরাট ম্যাচের শেষ দিনে ছিল টি২০-র মেজাজ। চতুর্থ দিনের সকালে ৮ উইকেটে ২১৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লিয়ার করে বাংলা। ৩২৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে নামে বাংলা। এখনও যে ফুরিয়ে যাননি সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেন শামি। সেইসঙ্গে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে জ্বলে উঠলেন শাহবাজও।

দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিংয়ে শুরুতেই অভিষেক দেশাইকে ফেরালেন শামি।আরিয়া দেশাইকে ১৩ রানে ফেরালেন আকাশ দীপ। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া গুজরাটের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেছিলেন উর্বির প্যাটেল এবং জয়মীত প্যাটেল। শতরান করে বাংলাকে চাপে রাখেন উর্বির।

উর্ভিল প্যাটেল সেঞ্চুরি করে চোট পাবার পর রিটায়ার হার্ড হতেই বাংলার ভাগ্য ফিরল! শাহবাজ আহমেদ পরপর দুটি উইকেট নিয়ে, বাংলার জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরই ফের শাহবাজ-শামি জ্বলে উঠলেন। দ্রুত গুজরাটের ব্যাটারদের ফেরালেন।১৮৫ রানেই শেষ হল গুজরাটের দ্বিতীয় ইনিংস। শামি নিলেন ৫ উইকেট। শাহবাজ পেলেন ৩ উইকেট।

উইকেট বাঁচিয়ে খেলে শেষবেলায় জয়ের জন্য ঝাঁপানোর পরিকল্পনা ছিল গুজরাটের। শতরানের পরেই তাল কাটল। ক্র্যাম্পের কারণে সাময়িক মাঠ ছাড়েন উর্ভিল। স্কোরবোর্ডে তখন সম্ভবত ১৫৩/৩। মাত্র ৩২ রানের মধ্যে পরবর্তী ৭ উইকেট হারায় গুজরাট। উর্ভিল ক্র্যাম্পের কারণে মাঠ ছাড়ার মিনিট দশেকের মধ্যে তিনটি উইকেট খোয়ায় বিপক্ষ।শামি বুঝিয়ে দিলেন তিনি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন।

শামি বললেন, “আমার হাতে যা ছিল করেছি। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। এবার দেখা যাক কী হয়। ভাগ্য আমাকে কতদূর নিয়ে যায়। নিজের রাজ্যের হয়ে খেলা আমার কাছে সবসময় গর্বের। এটা আলাদা একটা অনুপ্রেরণা জোগায়, যদি কেউ চোট থেকে প্রত্য়াবর্তন করতে চায়, তাহলে তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই আসতে হবে। আমি এখানে কোনও সমস্যা দেখি না। আর ভারতের হয়ে যে খেলবে, তাঁকে ফিট থাকতেই হবে।”

–

–
–
–


