Tuesday, November 11, 2025

বিস্ফোরক ধরা পড়তেই তড়িঘড়ি প্ল্যান-বি! দিল্লি বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হামলার তত্ত্বের সন্দেহ

Date:

ধীরগতিতে চলা আই-টোয়েন্টি গাড়ি। তার সূত্র ধরেই দিল্লি বিস্ফোরণের জট ছাড়ানোর চেষ্টায় দেশের একাধিক এজেন্সি। প্রায় ১০০টি সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) খতিয়ে দেখে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হাতে তথ্য পৌঁছেছে, এক চিকিৎসক বিস্ফোরণের (Delhi blast) গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। এই চিকিৎসক আর কেউ নয়, ডাক্তার ওমর মহম্মদ, যার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Jammu and Kashmir police)। সোমবার ফরিদাবাদ (Faridabad) থেকে যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল দুই চিকিৎসকের কাছ থেকে, ওমর মহম্মদ ছিল তাদেরই এক সহযোগী। তবে কি বিস্ফোরক ধরা পড়ে যাওয়াতেই দ্রুত নতুন প্ল্যান করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের (suicide attack) ঘটনা? এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

হরিয়ানার নম্বর প্লেট ব্যবহার করা আই-টোয়েন্টি (i-20) গাড়িটির অন্তত পাঁচবার হাত বদল হয়েছিল, এমনটাই সামনে এসেছে বিস্ফোরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে। ইতিমধ্যেই গাড়ির মালিক মহম্মদ সলমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সলমন নিজের গাড়িটি রাজেন্দ্র নামে একজনকে দেয়। রাজেন্দ্রর থেকে গাড়ি আসে আমিরের হাতে। সে গাড়ি তুলে দেয় দক্ষিণ জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা তারিকের হাতে। তারিকের হাত থেকেই গাড়ি পৌঁছয় ডাক্তার ওমরের মহম্মদের (Dr Omar Mohammed) হাতে। গোয়েন্দাদের উদ্ধার করা সিসিটিভিতে স্পষ্ট ভাবে ডাক্তার ওমরকেই সোমবার সন্ধ্যায় গাড়িটি চালাতে দেখা যায়।

সোমবারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১১ জনের মৃত্যু (death) হয়েছে। আহত (injured) অন্তত ২৯ জন। সকলের এলএনজি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। সোমবার রাতেই গ্রেফতার হয় গাড়ির মালিক মহম্মদ সলমন। তার সূত্র ধরে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে আটক ডাক্তার ওমর মহম্মদের মা ও দুই ভাই। গোয়েন্দা বিভাগ, ফরিদাবাদ পুলিশ এবং কাশ্মীর পুলিশের যৌথ তল্লাশি অভিযান (search operation) চালানো হচ্ছে ধুজ গ্রাম, ফতেপুর তাগা ও আল-ফালাহ কলেজ এলাকায়।

আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত লাল কেল্লা পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের কোতোয়ালি স্টেশন ASI-এর দিল্লি সার্কেলকে লেখা চিঠির পর এই বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে লেখা হয়, ঘটনাস্থল এখনও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তদন্ত শেষ হয়নি। তাই অনুরোধ করা হচ্ছে যে ১১/১১/২০২৫ থেকে ১৩/১১/২০২৫ পর্যন্ত তিন দিনের জন্য লাল কেল্লা দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হোক।

আরও পড়ুন: সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

লালকেল্লার পাশাপাশি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনও। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তার জন্য এই স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাকি সব স্টেশনে পরিষেবা স্বাভাবিক। মঙ্গলবার লালকেল্লা এলাকার সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বেশ কিছু দোকানও।

Related articles

দেশে বিস্ফোরণ, বিদেশে ‘ফটোশুটে’ প্রধানমন্ত্রী! তোপ তৃণমূলের

পহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের একেবারে টার্গেট করে হত্যা করল সন্ত্রাসবাদীরা। সোমবারের দিল্লির বিস্ফোরণেও আগে থেকে সতর্কবার্তা ছিল দিল্লিসহ (Delhi)...

বুকে সংক্রমণ: লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হল প্রবীণ অভিনেতা প্রেম চোপড়াকে

বলিউডে সম্প্রতি যেন বিয়োগের গেরো। একদিকে ইন্ডাস্ট্রির হি-ম্যান ধর্মেন্দ্র সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অন্যদিকে বুকে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে...

রাজধানীর নিরাপত্তায় এত খামতি! স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তোপ অভিষেকের

রাজধানীর নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই রাজধানী দিল্লিতে প্রাণখুলে বাঁচতে চাওয়া মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে বারবার উঠেছে প্রশ্ন...

ধর্মেন্দ্র প্রয়াত! সকাল থেকে মৃত্যুর খবরে ধন্দ, ‘মিথ্যা’ দাবি ইশা দেওলের

গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সোমবার তাঁকে ভেন্টিলেশনেও দেওয়া হয়েছিল। চোখের জল ফেলে হাসপাতালে বাবাকে দেখতে এসেছিলেন সানি দেওল (Sunny...
Exit mobile version