ইজতেমার প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইমাম, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খান, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এবং অরূপ বিশ্বাস। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান, এত বড় ধর্মীয় সমাবেশে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। আগত ধর্মপ্রাণ মানুষের থাকা, খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত এবং নিরাপত্তা—সব দিকই খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন তিনি। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েনের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নির্বাচনের বছর হওয়ায় বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে বলেও বৈঠকে মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে ইজতেমা আয়োজনের উপর জোর দিয়ে তিনি হুগলি জেলা প্রশাসনকে সমস্ত রকমের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ইজতেমাকে ঘিরে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক যুবভারতীর ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী, যদিও সরাসরি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেননি। আরও পড়ুন: পুলিশের ধাওয়া! পার্টির পর পালাতে গিয়ে ড্রেন পাইপ থেকে পড়ে আশঙ্কাজনক তরুণী
আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চার দিন ধরে এই ইজতেমা চলবে হুগলির দাদপুর থানার অন্তর্গত পুইনান এলাকায়। শেষ দিন, ৫ জানুয়ারি আখরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ইজতেমায় দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে ইজতেমার নিরাপত্তা, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং জরুরি পরিষেবা নিয়ে আরও একাধিক প্রস্তুতি বৈঠক হবে। এত বড় ধর্মীয় সমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়, সেই লক্ষ্যেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরকে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
