রাজ্য সরকার এবার সচিবালয়ের কর্মীদের মতোই ডিরেক্টরেট স্তরের কর্মীদের জন্য কমন ক্যাডার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রশাসনিক সংস্কার দফতের অধীনে ডিরেক্টরেটের কর্মীরাও সচিবালয় কর্মীদের মতোই সুবিধা পাবেন।

নতুন নিয়মে, কোনও কর্মীর পদোন্নতির সময় তাঁর নিজস্ব ডিরেক্টরেটে শূন্যপদ না থাকলে, তিনি অন্য দফতরের ডিরেক্টরেটে পদোন্নতি পেতে পারবেন। প্রশাসনিক মহলের মতে, এতে ডিরেক্টরেট ও রিজিওনাল স্তরের বিপুল সংখ্যক কর্মচারী উপকৃত হবেন। আগে নিয়ম ছিল, যে দফতরের ডিরেক্টরেটের অধীনে কোনও কর্মী চাকরি পেতেন, সারা কর্মজীবন তাঁকে সেখানেই কাজ করতে হত। ফলে ছোট ডিরেক্টরেটগুলিতে অনেক কর্মী পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতেন।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ফেডারেশনের রাজ্য আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক জানান, দীর্ঘদিনের উদ্যোগের ফলেই ডিরেক্টরেট কমন ক্যাডারের ফাইল মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মচারী দরদী। এই সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ।”
এ দিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দফতরের জন্য মোট ১০টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের জন্য ৪ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, সাব-গেমস ও এশিয়ান গেমসের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদকজয়ী খেলোয়াড়দের জন্য ১৭টি শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তাছাড়া জুডিশিয়াল আধিকারিকদের আবাসনের নিরাপত্তা জোরদার করতে উপ-নিরাপত্তা আধিকারিকের পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রশাসনিক মহলের মতে, কর্মচারী কল্যাণ ও প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও গতিশীল করতে একযোগে এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন – পর্যটন মরশুমে নিয়মে বদল! বড়দিন ও নববর্ষে খোলা থাকবে ডুয়ার্সের জঙ্গল

_

_

_

_
_

